পুঁজিবাজারে কোটিপতি বিনিয়োগকারী ২৩ হাজার ২১০ জন

:: আপডেট: ২০২১-০৫-২৬ ১৭:৫০:১৪


দেশের পুঁজিবাজারে বর্তমানে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ২৬ লাখ ৫৯ হাজার ৮০৩ জন। এর মধ্যে কোটিপতি বিনিয়োগকারী রয়েছে ২৩ হাজার ২১০ জন। সম্প্রতি বেনেফিসিয়ারি ওনার (বিও) তথ্য পর্যালোচনা করে এই সংখ্যা বের করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন(বিএসইসি)। এই কোটিপতি বিনিয়োগকারীরা স্মলক্যাপ বাজারকে গতিশীল করতে সেখানে অংশ নিতে পারবে ।

সূত্র মতে, এক কোটি থেকে দুই কোটি ৮ হাজার ৮০০, দুই কোটি থেকে তিন কোটি ৪ হাজার ৮০০, তিন থেকে চার কোটি তিন হাজার ৪১০ জন, চার থেকে পাঁচ কোটি দুই হাজার ৭০০ জন, পাঁচ কোটি থেকে ১০ কোটি দুই হাজার ২৫০ জন এবং দশ কোটি থেকে উপরে এক হাজার ২৫০ জন বিনিয়োগকারী রয়েছে।

কোটিপতি বিনিয়োগকারীদের বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন,স্মল ক্যাপ প্লাটফর্মকে গতিশীল করতে চায় বিএসইসি। এর মধ্যমে ছোট উদ্যোক্তারা পুঁজিবাজার থেকে টাকা সংগ্রহ করতে পারবে। কোটিপতি বিনিয়োগকারীরা যোগ্য বিনিয়োগকারীদের সাথে স্মল ক্যাপ প্লাটফর্মে অংশ নিতে পারবে। তবে ইলেকট্রনিক সাবসক্রিপশনস সিস্টেমে (ইএসএস) নিবন্ধন থাকতে হবে।

পুঁজিবাজারের সব খবর পেতে জয়েন করুন 

Sunbd Newsক্যাপিটাল নিউজক্যাপিটাল ভিউজস্টক নিউজশেয়ারবাজারের খবরা-খবর

প্রসঙ্গত, যোগ্য বিনিয়োগকারীরা হলো-ব্যাংক,আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা, মার্চেন্ট ব্যাংকার, পোর্টফোলিও ম্যানেজার, অ্যাসেট ম্যানেজার ও তাদের পরিচালিত মিউচ্যুয়াল ফান্ড, স্টক ডিলার, অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও ফান্ডের ম্যানেজার, অনুমোদিত পেনশন ও প্রভিডেন্ট ফান্ড, ইতিমধ্যে বিনিয়োগ করা বৈদেশিক বিনিয়োগকারী এবং কমিশন অনুমোদিত বিনিয়োগকারীরা। এবার স্মলক্যাপের জন্য যুক্ত হচ্ছে এক কোটি টাকার উপরের বিনিয়োগকারীরা। তবে এর জন্য ইলেকট্রনিক সাবসক্রিপশনস সিস্টেমে (ইএসএস) নিবন্ধন থাকতে হবে।

এদিকে ডিএসইর সূত্র মতে, ইলেকট্রনিক সাবসক্রিপশনস সিস্টেমে (ইএসএস) নিবন্ধন করেছে প্রায় এক হাজার চারশত যোগ্য বিনিয়োগকারী।

নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে পুঁজিবাজার। পুঁজিবাজারে সক্রিয় হচ্ছে সাইটলাইনে থাকা বিনিয়োগকারীরা। বাড়ছে সূচক ও লেনদেন। সব মিলিয়ে প্রাণ ফিরে পেয়েছে নিস্তেজ হওয়া পুঁজিবাজার।

২০২০ সালের ১৭ মার্চ সংস্থাটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে। এরপর করোনার ছুটি কাটিয়ে ৩১মে ফের পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়। তারপর থেকেই নতুন নতুন চমক দেখতে পায় বাজার সংশ্লিষ্টরা। নতুন কমিশনের করিৎকর্মা কিছু সিদ্ধান্তে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরতে শুরু করে। ফলে বাজারমুখী হয় সাইটলাইনে থাকা বিনিয়োগকারীরা। তার ফলশ্রুতিতে গত এক বছরে পুঁজিবাজারে চাঙা ভাব বিরাজ করছে।

উদীয়মান উদ্যোক্তাদের সহযোগীতা করার জন্য ২০১৬ সালের অক্টোবরে কিউআইও বিধান করে তৎকালীন কমিশন। তবে সাড়ে চার বছর পর এই প্লার্টফর্মের কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। বিএসইসির ৭৭০তম কমিশন প্রথম স্বল্প মূলধনি কোম্পানির হিসেবে অনুমোদন পেয়েছে নিয়ালকো অ্যালয় লিমিটেড।

কোয়ালিফায়েড ইনভেস্টরস অফার বা কিআইও হলো- স্বল্প মূলধনি কোম্পানির (যার পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকার কম) প্রাথমিক শেয়ার বিক্রির প্রক্রিয়া। ৩০ কোটি টাকার বেশি মূলধনি কোম্পানির প্রাথমিক শেয়ার বিক্রির প্রক্রিয়ার সংক্ষিপ্ত নাম আইপিও। কিআইও প্রক্রিয়ায় সবাই শেয়ার কেনার সুযোগ পাবেন না।

নিয়ালকো অ্যালয়: পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া নিয়ালকো অ্যালয় লিমিটেডের কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারে (কিউআইও) ১৭.৯১ গুণ আবেদন জমা পড়েছে। কোম্পানিটির ১৬ থেকে ২০ মে পর্যন্ত চলাকালীন এই আবেদন জমা পড়েছে।

জানা গেছে, নিয়ালকো অ্যালয়ের ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার চাহিদার বিপরীতে ১৩৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকার আবেদন জমা পড়েছে। এক্ষেত্রে চাহিদার ১৭.৯১ গুণ আবেদন জমা পড়েছে। এতে ৩০৯ জন যোগ্য বিনিয়োগকারী আবেদন করেছেন।

২০১৮ সালের রুলস অনুযায়ী কোম্পানিটি প্রতিটি ১০ টাকা করে ৭৫ লাখ শেয়ার যোগ্য বিনিয়োগাকারীদের নিকট ইস্যু করবে। উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি ভূমি উন্নয়ন, যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।

গত ১৫ এপ্রিল বিএসইসির ৭৭০তম সভায় নিয়ালকো অ্যালয় লিমিটেডকে কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার বাই স্মল ক্যাপিটাল কোম্পানিজের (কিউআইও) মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি।

কোম্পানিটির ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ সময়কালে আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.৯১ টাকা এবং পুন:মূল্যায়ন সঞ্চিতি ছাড়া নিট সম্পদ (এনএভিপিএস) মূল্য দাঁড়িয়েছে ১২.৪৩ টাকায়।

এসএমই প্লাটফর্মে লেনদেনের তারিখ হতে পরবর্তী তিন বছর ইস্যুয়ার কোম্পানি কোনো বোনাস শেয়ার ইস্যু করতে পারবে না।

কোম্পানিাটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে এমটিবি ক্যাপিটাল লিমিটেড।