মিসরে বৈঠকে বসছেন হামাস প্রধান ও ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-০৫-৩১ ১৩:০৫:০৬
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় টানা ১১ দিন তাণ্ডব চালানোর পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে এ যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করে মিসর।
এবার হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আরও সংহত করে গাজা, পশ্চিম জেরুজালেম, আল-আকসা, শেখ জাররাহ এলাকায় স্থায়ী শান্তি ফেরাতে বৈঠকের আয়োজন করেছে দেশটি। খবর আল-জাজিরার।
মিসরের রাজধানী কায়রোতে আয়োজিত এ বৈঠকে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া ও ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাবি আশকেনাজি অংশ নেবেন। তবে কবে, কোথায় ত্রি-পাক্ষিক এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে তা জানায়নি মিসর।
তবে হামাস ও ইসরায়েলি নেতাদের বৈঠক ঘিরে কায়রোজুড়ে কঠোর নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার (৩০ মে) কায়রো পৌঁছেছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাবি আশকেনাজি। সেখানে গিয়েই তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে টুইটও করেছেন।
টুইট বার্তায় ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লেখেন, প্রায় ১৩ বছর পর কায়রো সফরে এসেছি। সফরে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আমরা হামাসের সঙ্গে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও গাজা পুনর্নির্মাণে সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করব। পাশাপাশি হামাসের জিম্মায় থাকায় ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তির ব্যাপারেও আলোচনা হবে।
মিসরের পররাষ্ট্রমন্তী সামে শৌকরি জানিয়েছেন, পশ্চিম জেরুজালেম, পবিত্র আল-আকসা মসজিদসহ ওই এলাকায় অবস্থিত সকল ধর্মীয় স্থাপনার বিষয়টি মাথায় রেখে মিসর দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছে। সেখানে শান্তি ফেরাতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে কায়রো।
তিনি বলেন, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি স্থায়ী করতে ডাকা বৈঠকে আসা সব অতিথিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে মিসর। বিষয়টি দেখভাল করতে মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির দেশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান আব্বাস কামেলকে তদারকির দায়িত্ব দিয়েছেন।
হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার বৈঠকেও উপস্থিত থাকবেন মিসরের গোয়েন্দা প্রধান আব্বাস কামেল। এর আগে রোববার (৩০ মে) গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আরও দৃঢ় করতে বৈঠক করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও মিসরের গোয়েন্দা প্রধান আব্বাস কামেল।