মাইক্রোবাস আমদানির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২১-০৬-০৯ ১৫:৫২:৩৭
গণপরিবহন হিসেবে বহুল ব্যবহৃত ১০-১৫ আসনের মাইক্রোবাস আমদানির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের জন্য বাজেটে প্রস্তাব জানিয়েছিল বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স এন্ড ডিলার্স এসোসিয়েশন (বারভিডা)।
আবেদনটি গৃহীত না হওয়ায় তা পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের কাছে পুনরায় দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
বুধবার (৯ জুন) সংগঠনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বাজেট পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে বারভিডা সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম এ দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট আবদুল হক।
এদিকে, অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও গতি সঞ্চার , স্থানীয় শিল্প সুরক্ষা এবং গ্রামীণ অর্থনীতিকে উজ্জীবিত রাখতে যেসব সহায়তা প্রস্তাব করা হয়েছে বারভিডা তাকে স্বাগত জানিয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে মাইক্রোবাস এবং হাইব্রিড কার ও জিপ ( ১৮০১ সিসি থেকে ২৫০০ সিসি পর্যন্ত ) আমদানিতে শুল্ক পুনর্বিন্যাস হ্রাস করায় বারভিডা প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছে । পাশাপাশি বারভিডার প্রস্তাবকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে নসিমন, লেগুনা ইত্যাদি অনিরাপদ যান চলাচল নিরুৎসাহিত করে গণপরিবহন হিসেবে মাইক্রোবাসকে স্বীকৃতি দেয়ায় সংগঠনটি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
শহীদুল ইসলাম বলেন, রিকন্ডিশন্ড মোটরযান আমদানির ক্ষেত্রে তারা যে ৪৫ শতাংশ অবচয় সুবিধা এবং বছরভিত্তিক অবচয় সুবিধা চেয়েছিলেন তা-ও প্রস্তাবিত বাজেটে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এ সুবিধাটি দেয়ার জন্যও সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে বারভিডা নেতৃবৃন্দ বলেন, নতুন ও রিকন্ডিশন্ড গাড়ির শুল্কায়ন মূল্যে চরম বৈষম্যের ফলে নতুন গাড়ির চেয়ে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির দাম কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেশি হয়ে যাচ্ছে। ফলে ক্রেতা কমে যাচ্ছে, আমদানি হ্রাস পাচ্ছে এবং এ খাতের ব্যবসায়ীরা মারাত্মক আর্থিক সঙ্কটে পড়ছেন।
বারভিডা জানায়, আমদানি ক্রমাগত কমতে থাকায় যেখানে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ২০ হাজার ১৪৯টি এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২৩ হাজার ৭৫টি গাড়ি আমদানি হয়, সেখানে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আমদানি কমে ১২ হাজার ৫০২টিতে নেমে আসে। ২০১৯-২০ অর্থবছরেও আমদানি হ্রাসের ধারা অব্যাহত রয়েছে।