ট্রেকের জন্য বাড়তি সময় পেলো ৮ প্রতিষ্ঠান
সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২১-০৬-১৬ ২২:৪৮:৪৮
নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের পুঁজিবাজার। নতুন কমিশনের নানামুখী পদক্ষেপের কারণে বাজারমুখী হচ্ছে সাইড লাইনে থাকা বিনিয়োগকারীরা। ফলে বাজারকে দেশে ও বিদেশে সম্প্রসারণ করার উদ্যোগ নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরই আলোকে দেশের পুঁজিবাজারকে সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে নতুন ট্রেক ইস্যু করছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
ডিএসই সূত্র মতে, প্রাথমিকভাবে ডিএসইতে ৭৯টি কোম্পানি ট্রেকের জন্য আবেদন করে। এর মধ্যে ৫১টি প্রতিষ্ঠানকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করে বিএসইসিতে তালিকা পাঠায় ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ। সেখান থেকে ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমোূন দেয় বিএসইসি।
পুঁজিবাজারের সব খবর পেতে জয়েন করুন
Sunbd News–ক্যাপিটাল নিউজ–ক্যাপিটাল ভিউজ–স্টক নিউজ–শেয়ারবাজারের খবরা-খবর
৫১টি কোম্পানির বাহিরে বাকী কোম্পানিগুলোর বিভিন্ন সমস্যার কারণে অযোগ্য ঘোষণা করে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিদেশি তিনটি প্রতিষ্ঠানও ছিলো। ফলে কোম্পানিগুলো কাগজপত্র সঠিক করে দেওয়ার জন্য বিএসইসিতে আবেদন করে। বিএসইসি বিষয়টি ডিএসইকে বিবেচনা করার অনুরোধ করে। ফলে গত ১৪ জুন ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সভায় আটটি প্রতিষ্ঠানকে আবারও সময় দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩১ জুলাই,২০২১ সময়ের মধ্যে সকল ধরণের কাগজপত্র দিয়ে ডিএসইতে আবেদন করতে বলা হয়েছে।
নতুন আটটি প্রতিষ্ঠান হলো-এর মধ্যে একটি দেশি-বিদেশি মালিকানাধীন জাপান সোলারটেক (বাংলাদেশ)। দুটি পুরো বিদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুবাইয়ের ফাসসেট টেকনোলজি ও শ্রীলঙ্কার কলম্বোর ক্যাপিটাল অ্যালায়েন্স সিকিউরিটিজ লিমিটেড। দেশি পাঁচটি প্রতিষ্ঠান হলো- এসকিউ ক্যাবল অ্যান্ড ওয়্যার,ম্যাটরিক্স সিকিউরিটজ, বেসিক ব্যাংক সিকিউরিটিজ, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স এবং অ্যাসুরেন্স সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
জানা গেছে, পুঁজিবাজারকে আরও প্রসারিত করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ডিজিটাল বুথের অনুমোদন ও শাখা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। পুঁজিবাজার সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে প্রাথমিক পর্যায়ে ৩০টি ট্রেকের অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি।
অন্যদিকে নতুন ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (ট্রেক) ইস্যু করার জন্য চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর ৯৯০তম পরিচালনা পর্ষদের সভায় ডিএসই সংশ্লিষ্ট আইনসমূহ, স্কীম, বিধিমালা ও প্রবিধানমালার বিধানাবলী মোতাবেক যোগ্যতার ভিত্তিতে ট্রেক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এর পর প্রত্রিকায় ও ডিএসইর সাইটে আবেদন জমা দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। প্রথম ধাপে এর মেয়াদ দেওয়া হয় ১৮ মার্চ পর্যন্ত। ওই সময়ে কাঙ্খিত আবেদন জমা না পড়ায় ২৮ মার্চ পর্যন্ত আবেদন গ্রহনের সময় বাড়ানো হয়। এই সময়ে মোট ৬৬টি প্রতিষ্ঠান ট্রেকের জন্য আবেদন করেছে। এর মধ্যে বিভিন্ন কারণে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের আবেদন অযোগ্য বলে বাতিল করা হয়। যোগ্য ৫১টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা ইতোমধ্যে বিএসইসিতে জমা দেয় ডিএসই। ডিএসইর পাঠানো তালিকা থেকে ৩০টি ট্রেকের অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি। এর আগে ২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ট্রেক সংক্রান্ত আইনটি চুড়ান্ত করে কমিশন।