‘অপ্রচলিত ফসল চাষে পাহাড়ি এলাকার অর্থনীতিতে বিপ্লব ঘটবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২১-০৬-১৯ ২০:০২:০১


কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার এখন কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণ ও লাভজনক করতে নিরলস কাজ করছে। কৃষিকে লাভজনক করতে হলে কাজুবাদাম, কফি, গোলমরিচসহ অপ্রচলিত অর্থকরী ফসল চাষ করতে হবে। শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও এসবের বিশাল চাহিদা রয়েছে, দামও বেশি। সেজন্য এসব ফসলের চাষাবাদ ও প্রক্রিয়াজাত বাড়াতে হবে। এটি করতে পারলে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার অর্থনীতিতে বিপ্লব ঘটবে।

শনিবার (১৯ জুন) সকালে বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলায় কাজুবাদাম বাগান, কফি বাগান ও আমসহ অন্যান্য ফলবাগান পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, পাহাড়ের বৃহৎ অঞ্চলজুড়ে অপ্রচলিত ফসল চাষের সম্ভাবনা অনেক। আনারস, আম, ড্রাগনসহ অন্যান্য ফল চাষের সম্ভাবনাও প্রচুর। আমরা কাজুবাদাম ও কফির উন্নত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং এসব ফসলের চাষ আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছি। একই সঙ্গে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করেও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যাবে।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে অল্প পরিসরে কাজুবাদাম এবং কফি উৎপাদন হচ্ছে। শুধু পাহাড়ি অঞ্চল নয়, সারাদেশের যেসব অঞ্চলে কাজুবাদাম ও কফি চাষাবাদের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে; কিন্তু বর্তমানে চাষাবাদ হচ্ছে না পর্যায়ক্রমে এমন এলাকাও কাজুবাদাম এবং কফি চাষের আওতায় আনা হবে।

তিনি জানান, সম্প্রতি ‘কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ’ শীর্ষক ২১১ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি এসব অপ্রচলিত ফসলের চাষাবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি এবং প্রক্রিয়াজাতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এসব ফসলের চাষ জনপ্রিয় করতে কৃষক ও উদ্যোক্তাদের আমরা বিনামূল্যে উন্নত জাতের চারা, প্রযুক্তি ও পরামর্শ সেবা প্রদান করছি। গত বছর কাজুবাদামের এক লাখ ৫৬ হাজার চারা বিনামূল্যে কৃষকদের দেয়া হয়েছে; এ বছর তিন লাখ চারা দেয়া হবে।

এছাড়া দেশে কাজুবাদামের প্রক্রিয়াজাতকরণের সমস্যা দূর করা এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে কাঁচা কাজুবাদাম আমদানির ওপর শুল্কহার প্রায় ৯০ শতাংশ থেকে নামিয়ে মাত্র ৫ শতাংশে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।

পরিদর্শনকালে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব ওয়াহিদা আক্তার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার, বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, পুলিশ সুপার জেরিন আখতার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বান্দরবনের উপপরিচালক এ কে এম নাজমুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সানবিডি/এএ