বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক’ পেলেন ফরিদপুরের বক্তার খান

জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২১-০৭-০২ ১১:৪৫:৩৭


পেঁয়াজের বীজ চাষে বিশেষ ভূমিকা রাখায় ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক’ পেয়েছেন ফরিদপুরের বক্তার হোসেন খান। একই অবদানের জন্য ‘চ্যানেল আই-স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড এগ্রো অ্যাওয়ার্ড’ পান তার স্ত্রী সাহিদা বেগম।

বক্তার হোসেন খান একজন ব্যাংকার। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন থেকে শুরু করে বাজারজাতকরণ পর্যন্ত নিজ হাতেই করে থাকেন। তার অধীনে কয়েক শত নারী-পুরুষ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।

গত ২৭ জুন (রোববার) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বক্তার হোসেন খানসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাঝে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক’ তুলে দেন। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রী আবদুর রাজ্জাকসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তার হোসেন খানের সহধর্মীনি সাহিদা বেগমও একজন পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনকারী। এ বছর তিনি পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনে বিশেষ অবদান রাখায় ‘চ্যানেল আই-স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড এগ্রো অ্যাওয়ার্ড’ পান। শুধু কৃষিতেই নয়, ছাগল, হাঁস-মুরগী, মাশরুম চাষেও তারা সফল। এছাড়া আম বাগান ও মাছের চাষও করছেন এ পরিবারটি। এ দম্পতির খান বীজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।

সাহিদা বেগম ও বক্তার খান নিজেরাই গড়ে তুলেছেন পেঁয়াজের বীজের কারখানা। সেখান থেকেই বীজ প্যাকেটজাত করা এবং ক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করা হয়। তার তৈরি করা বীজ ক্রেতাদের কাছে পরিচিত খান সিডস নামে।

এ বিষয়ে ফরিদপুরের অম্বিকাপুরের সাহিদা বেগম জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে পেঁয়াজ বীজের আবাদ করে আসছেন। দেশে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন করেন তিনি। এ বছরও তিনি প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার বীজ বিক্রি করেছেন।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. হযরত আলী বলেন, বীজ উৎপাদন করে রবি মৌসুমে চাষিরা অধিক মুনাফা করেন। পেঁয়াজ বীজ আবাদে সরকারের তরফ থেকে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ফরিদপুরে এ বছর এক হাজার ৭১১ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজ আবাদ করা হয়।

ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, বর্তমান সরকার, কৃষিবান্ধব সরকার। প্রধানমন্ত্রী প্রবর্তিত কৃষি প্রণোদনার ওপর ভর করে এ ধরনের লাখ লাখ শাহিদা বেগমের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দেশ সেরা সাহিদা বেগম ও বক্তার খান ফরিদপুরের গর্ব। ফরিদপুরের জন্য তারা সন্মান বয়ে এনেছেন।