সুপারি বাগানে বস্তায় আদা চাষ
নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২১-০৭-১১ ১২:১৬:৩৪
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্বফুলমতি গ্রামের বাসিন্দা অলিউর রহমান নয়ন। পেশায় তিনি শিক্ষক, স্থানীয় রাবাইটারী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি ফসল ও মাছ চাষে সফলতা পেয়েছেন।কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে সুপারির বাগানের ফাঁকা জায়গাতে বস্তায় আদা চাষ শুরু করেছেন তিনি।
তার এ উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ। তারা মনে করেন তাকে দেখে এখন অনেক কৃষক এ পদ্ধতিতে আদা চাষে আগ্রহী হবেন। অলিউর রহমানেরও ইচ্ছা তিনি সুপারির বাগানে বাণিজ্যিকভাবে বস্তায় আদা চাষ করে লাভবান হলে উপজেলার কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করবেন।
আদা চাষে পরিমাণ মতো জৈব ও রাসায়নিক সার এবং দানাদার কীটনাশক বেলে দো-আঁশ মাটির সঙ্গে মিশিয়ে বস্তায় ভরেছেন। প্রত্যেক বস্তায় তিনটি করে আদার গাছ আছে। সুপারি গাছের ফাঁকে ফাঁকে সারিবদ্ধভাবে রেখেছেন চার শতাধিক বস্তা। ১০ শতাংশ জমির সুপারির বাগানের ভিতর বস্তায় আদা চাষ করতে অলিউর রহমানের খরচ হয়েছে আট হাজার টাকা।
তিনি বলেন, ‘সাধারণভাবে আদা চাষের চেয়ে এই পদ্ধতিতে ফলন বেশি হবে। আমি আশা করছি এই পদ্ধতিতে লাভবান হতে পারব। আমি প্রথম এই পদ্ধতিতে আদা চাষ শুরু করেছি। সফল হলে অন্যান্য কৃষককে উদ্বুদ্ধ করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ অঞ্চলে প্রত্যেক কৃষকের সুপারি বাগান আছে। এসব বাগানে অনেক ফাঁকা জায়গা আছে, এগুলো অব্যবহৃতই থাকে। এই ফাঁকা জায়গা ব্যবহারের চিন্তা থেকে বস্তায় আদা চাষ শুরু করি।’
ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রশিদ জানান, ‘বস্তায় মাটি ভরাট করে আদা চাষ কৃষকের কাছে একটি নতুন ধারণা। তাদের এভাবে আদা চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে আদা চাষ যেমন চাহিদা মেটাতে পারবে, একইভাবে কৃষকও লাভবান হবেন।’
সানবিডি/আরএইচ