কুলি থেকে উদ্যোক্তা, মোস্তফার বছরে আয় ৩০০ কোটি টাকা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আপডেট: ২০২১-০৭-১৬ ১১:৫১:৪৪
মোস্তাফা একটি খাবারের সংস্থার মালিক। তার সংস্থা সকালের খাবার প্রস্তুত করে। শুরুর দিকে এলাকায় দিনে ৫০ প্যাকেট খাবার বিক্রি করতেন তারা। এখন প্রতিদিন কয়েক হাজার প্যাকেট সরবরাহ করে মোস্তাফার সংস্থা। এ থেকে তার সংস্থা বছরে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আয় করে।
ভারতীয় যুবক মোস্তাফার এই সাফল্য সহজে আসেনি। কঠোর পরিশ্রম তাকে আজকের এ জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। আনন্দবাজার পত্রিকা মোস্তাফাকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলায়, মোস্তফার বাবা কফির বাগানে কুলির কাজ করতেন। দিনে একবেলা খাবারও ঠিকমতো জুটত না। এমনও হয়েছে অভুক্ত অবস্থাতেই রাতে ঘুমিয়েছেন পরিবারের প্রত্যেকে। মা ছিলেন নিরক্ষর। পড়াশোনার পাশাপাশি বাবার সঙ্গে কুলির কাজ করতেন মোস্তাফা। মোস্তাফার বাবা-মা চাইতেন না তাদের সন্তান পড়াশোনা ছেড়ে কুলির কাজ করুক। কিন্তু তার পরিবারের অন্য কোনো বিকল্প ছিল না।
ক্লাস সিক্সে ফেল করার পর মোস্তাফার মনে হয়, এভাবে পড়ালেখার ক্ষতি করা যাবে না। প্রয়োজনে আরও পরিশ্রম করতে হবে। কঠোর পরিশ্রমেই সাফল্য আসে। পাঁচ বছর পর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বোর্ডে প্রথম স্থান অধিকার করেন মোস্তাফা। এভাবেই দ্বাদশের গণ্ডি পেরিয়ে এনআইটিতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পান তিনি।
চাকরি পান বহুজাতিক সংস্থাতেও। ইউরোপ ও মধ্য প্রাচ্যের একাধিক সংস্থায়ও কাজ করেন মোস্তাফা।
এর পর ২০০৫ সালে নিজেই ব্যবসা শুরু করেন। শুরুতে পাঁচ হাজার কেজি চাল থেকে ১৫ হাজার কেজি ইডলির উপকরণ তৈরি করে মোস্তাফার সংস্থা। এখন তারা ভারতের সব বড় শহরে নিয়মিত এর চারগুণ বেশি উপকরণ সরবরাহ করেন।
১০ বছরের মধ্যে বছরে ১০০ কোটির বেশি আয় করতে শুরু করে মোস্তাফার ‘আইডি ফ্রেশ ফুড’, যা পরের বছরই বেড়ে দাঁড়ায় ১৮২ কোটিতে। এখনও পর্যন্ত বার্ষিক আয় কখনও নিম্নমুখী হয়নি সংস্থাটির।
শেষ আর্থিক বছরে ২৯৪ কোটি টাকা আয় করেছে মোস্তাফার সংস্থা, যা আগের বছরের ২৩৮ কোটির থেকে ২৩.৫ শতাংশ বেশি। মোস্তাফার সংস্থায় এখন কাজ করে গ্রাম থেকে উঠে আসা ভারতের হাজারেরও বেশি তরুণ।
সানবিডি/আরএইচ