বেসরকারিখাতে আন্তর্জাতিকমানের উচ্চশিক্ষায় পথ দেখাবে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি : আজিম উদ্দিন
:: আপডেট: ২০২১-০৭-১৭ ১৬:১৭:২৭
যে কয়জন শিক্ষানুরাগী উদ্যোক্তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি দেশের অন্যতম সেরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়েছে তাদেরই একজন বিশিষ্ট শিল্পপতি আজিম উদ্দিন আহমেদ। তিনি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টির আজীবন সদস্য এবং বর্তমানে বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হয়েছেন।
দেশে বেসরকারি পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত প্রথম ইউনিভার্সিটি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। এটি ১৯৯২ সালে অনুমোদন লাভ করে। বর্তমানে ২২ হাজারের অধিক শিক্ষার্থীর পদচারণায় মুখরিত আন্তর্জাতিকমানের এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির আয়ের বড় অংশ মেধাবী ও গরীব শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফ করার মধ্য দিয়ে খরচ হয়। প্রায় চার শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এখানে বিনামূল্যে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিকে বেসরকারিখাতে আন্তর্জাতিকমানের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অলোকবর্তিকা হিসেবে উপস্থাপন করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন শিক্ষানুরাগী আজিম উদ্দিন আহমেদ। ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে তার এই কর্মপরিকল্পনা আরো বহু গুণে বেড়েছে।
আজিম উদ্দিনের হৃদয়ে শিক্ষা বিস্তারের স্বপ্ন প্রথমে রোপন করেছিলেন তার শিক্ষানুরাগী বাবা সিরাজ উদ্দীন। তিনি নিজ গ্রামে প্রতিষ্ঠা করেন আজিম উদ্দিন আহমেদ ইসলামিয়া মাদ্রাসা, দুলুমা আজিম হাইস্কুল, ফাতেমা ফারজানা কিন্ডারগার্টেন এবং আজিম উদ্দিন আহমেদ ফোরকানিয়া মাদ্রাসা।
আজিম উদ্দিন আহমেদ ১৯৪০ সালের ৩০শে জুন ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার বাথানিয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। জন্ম সূত্রেই তিনি বেড়ে উঠেন পারিবারিক উদারতা আর মহানুভবতায়। একই সাথে সুশিক্ষা তাকে আরো উন্নত ও মহীয়ান করে তোলে। বাবা সিরাজ উদ্দিন আহমেদের প্রতিষ্ঠিত দাইয়াবিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার লেখাপড়ার হাতেখড়ি। এরপর ১৯৬২ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে ধরাবাধা চাকুরে জীবনের পথে পা না বাড়িয়ে স্বাধীন উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের কর্মজীবন নির্ধারণ করেন আজিম উদ্দিন। একাগ্রতা, একনিষ্ঠতা ও কঠোর পরিশ্রমের মধ্যদিয়ে ধীরে ধীরে ব্যবসা জগতে নিজেকে করে তোলেন অনন্য, সুপ্রতিষ্ঠিত। সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আজিম উদ্দীন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানও নিযুক্ত হন। তার নেতৃত্বাধীন ব্যাংকের সক্রিয় সহায়তায় একাধিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে দেশ জুড়ে। তিনি বাংলাদেশ কনজুমার প্রডাক্টস ম্যানুফেকচার এন্ড মার্কের্টাস এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
আজিম উদ্দীন আহমেদ একাধিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, মিউচ্যুয়াল গ্রুপ, মিউচ্যুয়াল ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড, এডি হোল্ডিংস লিমিটেড, আরলা ফুডস বাংলাদেশ লিমিটেড। একাধিক ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠানের যৌথ মালিকানায়ও তার নাম রয়েছে। সেগুলোর অন্যতম হলো, মিউচ্যুয়াল এগ্রো কমপ্লেক্স, মিউচ্যুয়াল ডিপার্টমেন্টাল স্টোর এবং মিউচ্যুয়াল ডিস্ট্রিবিউশন এন্ড সিলোনিয়া এজেন্সিস। মিউচ্যুয়াল ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও কাজ করেন তিনি। চট্টগ্রামে জুট ও স্টিল রি-রোলিং মিল প্রতিষ্ঠায় তিনি অগ্রগণ্য। সেরা রপ্তানিকারকের স্বীকৃতি হিসেবে লাভ করেন প্রেসিডেন্ট এক্সপোর্ট ট্রফি।
সমাজকর্মী মা ফাতেমা খানমের পদাঙ্ক অনুসরন করে সব সময় দুর্গত মানুষের পাশে থাকেন আজিম উদ্দীন আহমেদ। আজীবন বিভিন্ন সামাজিক ও মানব কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন তিনি। সমাজে অত্যন্ত সম্মানিত ও বিনয়ী ব্যক্তি হিসেবে আজিম উদ্দিন আহমেদ টানা মেয়াদে গুলশান ক্লাব, বারিধারা সোসাইটি এবং রোটারি ক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সভাপতি ছিলেন। এছাড়া তিনি বহু সামাজিক ও জনহিতকর সংস্থার সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত এবং বহু ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা।