রংপুরে ড্রাগন চাষে লাভ দেখছেন চাষিরা
জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২১-০৯-০৪ ১৫:৫৭:৪৪
তামাকের রাজ্য রংপুরে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ড্রাগনসহ বিদেশি কিছু ফলের চাষ।
রংপুরের তারাগঞ্জে বুড়িরহাট গ্রামের শামীমা আক্তার ড্রাগন চাষ করে সফল হয়েছেন। এ বছর ৪০ হাজার টাকা লাভও করেছেন তিনি।
শামীমা বলেন, ‘আমার বাবা একজন সফল কৃষক ছিলেন। তিনি তার জমিতে মাছ, লিচু, কলা, আদা চাষে সফল হয়েছিলেন। আদা চাষ করে কৃষি বিভাগ থেকে পুরস্কারও পেয়েছেন। আব্বার সেই কৃষিকাজ দেখে ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ার পাশাপাশি বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় ফুল-ফল ও ঔষধি গাছের চারা লাগাতাম।
‘২০১৫ সালে স্বামী ফরিদ আলমের সঙ্গে ভিয়েতনাম গিয়ে ড্রাগন ফল খেয়ে খুব মজা পাই। এরপর নিজেই সিদ্ধান্ত নেই এই ফল চাষের। আব্বার পরামর্শে তার ৫৫ শতক জমিতে ২০১৬ সালের শেষ দিকে ৮০০টি ড্রাগন ফলের চারা রোপণ করি। সেখানে এবার ফল এসেছে।’
শামীমা জানান, প্রতিটি গাছে বছরে ৫০ থেকে ৭০টি পর্যন্ত ড্রাগন ফল ধরে। ওজনে একটি ফল ৬০০-৮০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রংপুর জেলাজুড়ে ২৭টি ড্রাগন বাগান রয়েছে। এ বছর ৯ হেক্টর জমিতে ১৮০ টন ড্রাগন উৎপাদন হয়েছে। এক বিঘা জমিতে ড্রাগন ফল চাষ করতে দেড় লাখ টাকার মতো প্রয়োজন হয়। চারা রোপণের ১ বছরের মধ্যে ফলন আসতে শুরু করে।
রংপুর হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক আফতাব হোসেন জানান, ড্রাগন চাষ অত্যন্ত লাভজনক। এতে খরচ কম আবার লাভ বেশি। তা ছাড়া বিদেশি এই ফলগুলো পুষ্টিগুণে ভরপুর।
সানবিডি/ এন/আই