আলু রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে সহায়তা দেবে সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২১-০৯-০৫ ১৮:১১:০২
আলু রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে বছরে ১ কোটি টনেরও বেশি আলু উৎপাদিত হয়। অথচ বিদেশ থেকে চড়া দামে আলুর চিপস, প্রিঙ্গলস আমদানি করতে হয়। দেশে আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ ও ভ্যালু অ্যাডে জড়িত প্রতিষ্ঠানসমূহকে মানসম্পন্ন চিপস, প্রিঙ্গলস, ফ্রেঞ্চফ্রাই তৈরি করতে হবে। এছাড়া, আলুর বহুমুখী ব্যবহার করে আর কি কি প্রোডাক্ট বানানো যায়- তা খুঁজে বের করতে হবে।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনলনে আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ বৃদ্ধিতে করণীয় বিষয়ে সভায় এ তথ্য জানানো হয়ে। এদিন দেশের প্রকিয়াজাত খাদ্য প্রস্তুতকারী, প্রক্রিয়াজাতকারী কোম্পানির প্রতিনিধিসহ আলু, শাকসবজি রপ্তানিকারক সমিতির প্রতিনিধি, বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেন সরকারের কৃষি সংশ্লিষ্টরা।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মেসবাহুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আলু রফতানির জন্য আমরা বিভিন্ন দেশে গিয়েছি, কিন্তু খুব একটা কাজ হয়নি। ফলে পণ্য প্রক্রিয়াজতকরণ সব থেকে ভালো উপায়।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল, উন্নতজাতের অভাব। সেটা আমদানিতে নিয়ন্ত্রণ ছিল। আমরা এখন আমদানি উন্মুক্ত করেছি। আপনারা ভালো জাত আনুন। যে জাতগুলো থেকে হাই ভ্যালু প্রোডাক্ট প্রক্রিয়াজাতকরণ সম্ভব হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রকিয়াজাতকরণ সহজ করতে কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজে একটি ল্যাব করেছি। আরেকটি ল্যাব হবে রাজধানীর পূর্বাচলে। এরপর মান নিয়ে আর সমস্যা থাকবে না।’
সভায় বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত কোম্পানির প্রতিনিধিরা তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এসময় দেশের অন্যতম শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রাণের প্রতিনিধি বলেন, ‘আমরা বিদেশ থেকে প্রচুর স্টাচ আমদানি করি। কিন্তু দেশেও এটি তৈরির সক্ষমতা রয়েছে। ফলে আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে দিলে দেশের প্রক্রিয়াজাত শিল্প আরো এগিয়ে যাবে।’
এসিআইয়ের প্রতিনিধি বলেন, ‘দেশের কোল্ডস্টোরেজগুলো উন্নতজাতের আলু সংরক্ষণে উপযুক্ত নয়। সেসব আলু থেকে পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে নানা সমস্যা হচ্ছে। ভালো কোল্ডস্টোর প্রয়োজন।’
বম্বে সুইটসসের প্রতিনিধি বলেন, ‘আমরা কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে আলুর বীজ পাচ্ছি না। কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের জন্য বছরে আমাদের ৮ হাজার ৭৫০ টন উন্নত বীজের প্রয়োজন। অথচ গত বছর এর অর্ধেকও সংগ্রহ করতে পারিনি।’
রপ্তানিকারকেরা জানান, দেশে উৎপাদিত আলুতে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকার কারণে বিদেশে এসব জাতের আলুর চাহিদা কম। আলুর জাত উন্নয়নে প্রচুর কাজ করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় জানান হয়, দেশে ২০২০-২১ অর্থবছরে ১ কোটি ৬ লাখ টন আলু উৎপাদিত হয়েছে। রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৫৫ হাজার টন, যার মূল্য প্রায় ৫১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এএ