ওটিসি ফেরত চার কোম্পানির তদন্তের নির্দেশ বিএসইসির
সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২১-০৯-১৩ ২০:৫৬:১৪
ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট থেকে ফেরত চার কোম্পানির সার্বিক অবস্থা তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিগুলো হলো-তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস, বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং এবং মুন্নু ফেব্রিকস।
আজ সোমবার বিএসইসি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এই নির্দেশ দিয়েছে।
মূল মার্কেটে ফেরার কয়েক মাসেই কোম্পানিগুলোর গড় শেয়ার দর বেড়েছে ৮০০ শতাংশের উপরে। এই অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির কারন অনুসন্ধান করার জন্য কোম্পানিগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি তদন্ত করবে বিএসইসি।
বিএসইসির নির্দেশনায় গত ১৩ জুন ওটিসি থেকে ফেরা চারটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন মূল মার্কেটে শুরু হয়। যার পর থেকেই টানা দর বাড়তে থাকে কোম্পানিগুলো। এরমধ্যে কোম্পানিগুলোর ব্যবসার পতনের খবর প্রকাশও তাতে বাধা হয়ে দাড়াঁতে পারেনি। এমনকি দর বৃদ্ধির পেছনে কোন কারন নেই বলে ডিএসই থেকে সচেতনতামূলক তথ্য প্রকাশের পরে টানা দর বাড়তে থাকে।
এই স্বল্প সময়ের মধ্যে গড়ে ৮০০ শতাংশ করে দর বৃদ্ধিকে স্বাভাবিক মনে করছেন না বাজার সংশ্লিষ্টরাও।লেনদেন শুরু হওয়ার পরে অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি পাওয়ায় চার কোম্পানি নিয়ে সন্দেহ তৈরী হয় ডিএসই কর্তৃপক্ষের কাছে। যে কারনে তারা কারন অনুসন্ধান করে। কিন্তু কোম্পানি চারটির মধ্যে ১টিরও টানা দর বৃদ্ধির পেছনে কোন কারন খুজেঁ পায়নি ডিএসই।
এ নিয়ে গত ২১ জুন মুন্নু ফেব্রিকসের শেয়ার দর বাড়ার পেছনে কোন কারন নেই বলে সচেতনতামূলক তথ্য প্রকাশ করে ডিএসই। এছাড়া ২২ জুন মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং ও তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলসের দর বৃদ্ধির কারন নেই বলে জানায়।
কমিশনের একটি সূত্রে জানিয়েছে, ওটিসি থেকে ফেরা কোম্পানিগুলোর অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি নিয়ে কমিশন চিন্তিত। এই দর বৃদ্ধিকে স্বাভাবিক মনে করছে না কমিশন। তাই এর পেছনে কারসাজির সঙ্গে কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খুজে বের করা হবে। যদি কাউকে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সে যেই হোক না কেনো।
তামিজউদ্দিন টেক্সটাইল: তামিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের সর্বশেষ তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারী-মার্চ,২১) শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩০ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১১ পয়সা।
কোম্পানিটি ১৯৯২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটি জেড ক্যাটাগড়িতে লেনদেন হচ্ছে। কোম্পানিটির অনুমোধিত মুলধন পয়ত্রিশ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারের ৫৬ দশমিক ২২ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। বাকী শেয়ারের মধ্যে দশমিক ৬২ শতাংশ প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, এবং ৪৩ দশমিক ১৬ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
বাংলাদেশ মোনোসপোল: বাংলাদেশ মোনোসপোল পেপার ম্যানুফেকচারিং কোম্পানি লিমিটেডের সর্বশেষ তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারী-মার্চ,২১) শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৩৭ পয়সা।
কোম্পানিটি ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটি জেড ক্যাটাগড়িতে লেনদেন হচ্ছে। কোম্পানিটির অনুমোধিত মুলধন পঞ্চাশ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৩ কোটি ২৯ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারের ৫৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। বাকী শেয়ারের মধ্যে দশমিক ৪৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, এবং ৪৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
পেপার প্রসেসিং: পেপার প্রসেসিং এন্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের সর্বশেষ তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারী-মার্চ,২১) শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪০ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ১৭ পয়সা।
কোম্পানিটি ১৯৯০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটি জেড ক্যাটাগড়িতে লেনদেন হচ্ছে। কোম্পানিটির অনুমোধিত মুলধন পঁচিশ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৩ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা। মোট শেয়ারের ৪৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। বাকী শেয়ারের মধ্যে দশমিক ৬৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, এবং ৫৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
মুন্নু ফেব্রিক্স: মুন্নু ফেব্রিক্স লিমিটেডের সর্বশেষ তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারী-মার্চ,২১) শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০১ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ০২ পয়সা।
কোম্পানিটি ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটি জেড ক্যাটাগড়িতে লেনদেন হচ্ছে। কোম্পানিটির অনুমোধিত মুলধন পাঁচশ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১১৫ কোটি টাকা। মোট শেয়ারের ৪৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। বাকী শেয়ারের মধ্যে ১৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী এবং ৩৩ দশমিক ১৭ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
পুঁজিবাজারের সব খবর পেতে জয়েন করুন
Sunbd News–ক্যাপিটাল নিউজ–ক্যাপিটাল ভিউজ–স্টক নিউজ–শেয়ারবাজারের খবরা-খবর