ই-কমার্সের ফাঁদ থেকে বাঁচতে লোভ কমানোর পরামর্শ হাইকোর্টের
নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২১-০৯-১৯ ১৫:৪৯:৪০
ই-কমার্সের ফাঁদ থেকে বাঁচতে গ্রাহকদের লোভ কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এসব বিষয়ে জনস্বার্থে প্রচারণা চালানোর পরামর্শও দিয়েছেন। রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) ফোনালাপে আড়িপাতা বন্ধে রিট শুনানিকালে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মুস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পরামর্শ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
শুনানির পর্যায়ে আদালত আইনজীবী শিশির মনিরের কাছ জানতে চান ই-কমার্স ব্যবসার বিষয়ে কিছু বলেন। এ সম্পর্কে একটা ধারণা দেন।
তখন শিশির মনির বলেন, আমাদের দেশে ই-কমার্স ব্যবসার নামে অনেক বেশি ফ্রি অফার থাকে, যা বিদেশি প্রতিষ্ঠান আলিবাবা, অ্যামাজনে থাকে না। আমাদের দেশের গ্রাহকরা অতি লোভে পড়ে প্রতারণার শিকার হন।
তখন আদালত বলেন, ‘হ্যাঁ আমরা তো দেখি, একটা কিনলে আরেকটা ফ্রি। বিমানের টিকিট কিনলে হোটেল ফ্রি। আপনারা তো পাবলিক ইন্টারেস্টের মামলা করেন। আপনাদের উচিত পাবলিকদের সচেতন করা, তারা যেন এক্ষেত্রে লোভ কমান।’
আইনজীবী শিশির মনির আদালতকে বলেন, আমাদের দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিষয়টা এমন যে, প্রথমে তারা অফার দেবে- একটা মোটরসাইকেলের টাকায় দুইটা মোটরসাইকেল। এরপর গ্রাহকরা টাকা দিয়ে মোটরসাইকেল পাবে এবং টাকাটা বাংলাদেশ ব্যাংকের গেটওয়ে দিয়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে চলে যাবে। এরপর আবার দুইটা কিনলে আরও দুইটা ফ্রি, চারটা কিনলে আরও চারটা ফ্রি পাবে এমন অফার আসে।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু এক পর্যায়ে যখন গ্রাহক অধিকসংখ্যক যেমন- আটটা মোটরসাইকেল কিনলে আরও আটটা মোটরসাইকেল পাওয়ার জন্য টাকা দেয় তখন সে টাকা চলে যায়, কিন্তু মোটরসাইকেল আর আসে না।
পরে ফোনে আড়িপাতা বন্ধে ও ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনার তদন্ত চেয়ে করা রিটের আদেশের জন্য আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
পরে শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, আড়িপাতা ও ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় রিটের শুনানিতে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, দেশের মানুষ প্রতারণার শিকার হচ্ছে বেশকিছু ই-কমার্স মার্কেট থেকে। তখন ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জ নিয়ে কথা উঠলে আদালত জনগণকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন।
এএ