আজ ১৬০ ইউপি ও ৯ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ চলছে
জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২১-০৯-২০ ১০:৫১:৪১
দেশে প্রথম ধাপের ১৬০ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ও ৯ পৌরসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সব পৌরসভা ও ১১ ইউনিয়ন পরিষদে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হচ্ছে।
একই দিন সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান এবং দুটি পৌরসভার একটি করে ওয়ার্ডে উপনির্বাচন চলছে। ইতোমধ্যে তিনটি পৌরসভায় মেয়র, ৪৪ ইউপি চেয়ারম্যান, ৩৯ ইউপি সদস্য এবং সাতজন সংরক্ষিত সদস্য বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
ওই সব পদ বাদে বাকিগুলোতে ভোটগ্রহণ চলছে আজ। বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের বাদে ইউপিতে ৮ হাজার ৭১০ ও পৌরসভায় ৪৮৬ প্রার্থী লড়ছেন।
নির্বাচন ঘিরে সংশ্লিষ্ট অনেক এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। তবে বেশ কয়েকটি এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, প্রচারে বাধা, নির্বাচনি অফিস ভাঙচুরসহ বিভিন্ন ঘটনায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা বিরাজ করছে।
অনেক ইউপি ও পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরাও মাঠে রয়েছেন। এ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এদিকে একজন প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালানো কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলমকে সতর্ক করেছে ইসি। যদিও নির্বাচন কমিশন সচিব জানিয়েছেন, যে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে তাতে স্বচ্ছ, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে বলে প্রত্যাশা করছেন।
পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ১১ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৩ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রাখা হয়েছে। আচরণবিধি প্রতিপালনে প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে ৮১ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রতি পৌরসভায় একজন করে ৯ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও রয়েছেন। কেন্দ্রের বাইরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৯ পৌরসভায় পুলিশের ২৭টি মোবাইল টিম, ৯ স্ট্রাইকিং টিম, র্যাবের ২৭ টিম ও ২০ প্লাটুন বিজিবি মাঠে রয়েছেন। পৌরসভাগুলোতে ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৭৬ হাজার ৮৪২ জন।
স্থানীয় সরকারের এসব নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে শনিবার বিকালে প্রেস ব্রিফিং করেন ইসির সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। তিনি বলেন, আমরা যে প্রস্তুতি নিয়েছি তাতে আশা করতে পারি— স্বচ্ছ, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা বলতে পারি, ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি আমরা দেখছি। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বলেছি। তারাও আমাদের কথা দিয়েছেন।
ইসি সচিব বলেন, জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের চাহিদার ভিত্তিতে চার জেলায় বিজিবি ও কোস্টগার্ডের বাড়তি সদস্য মোতায়েন করেছি। তারা আমাদের জানিয়েছেন, সেখানে অতিরিক্ত ফোর্স লাগবে, আমরা বাড়তি ফোর্স মোতায়েন অনুমোদন করেছি। কমিশন সব সময় ফ্রি ফেয়ার ক্রেডিবল ইলেকশন আশা করে।
বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের বিষয়ে তিনি বলেন, যেখানে কেউ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন না করে সেখানে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেনই। যেসব ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, সেখানে সাধারণ সদস্য পদে ভোট হবে।
সানবিডি/ এন/আই