মহামারির পর ক্রেতাদের অর্ডার বাড়ছে তৈরি পোশাক খাতে
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-০৯-২১ ১৮:৪৮:৫৩
মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ তীব্রতা কাটিয়ে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ায় ফের সচল হচ্ছে বাংলাদেশসহ বিশ্বের রপ্তানি বাণিজ্য। এর ফলে বাংলাদেশের পোশাক প্রস্ত্ততকারী প্রতিষ্ঠানগুলো আগের চেয়ে বেশি ক্রয়াদেশ পাচ্ছে বলে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, কার্যাদেশ প্রবাহের প্রবণতা ইউটিলাইজেশন ডিক্লারেশন (ইউডি) অনুমতির সংখ্যা দ্বারা বিবেচনা করা হয়, যা সংশ্লিষ্ট সমিতি দিয়ে থাকে। কোনো কার্যাদেশ পাওয়ার পর সেই কাজ সম্পন্ন করতে যে কাঁচামালের প্রয়োজন তা আমদানি করতে রপ্তানিকারককে দেয়া অনুমতিই হলো ইউডি।
এ ব্যাপারে বিজিএমই’র দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের জানুয়ারি-আগস্ট সময়কালে ট্রেড বডি থেকে নেয়া ইউডি অনুমতির সংখ্যা ৩০.৪৮ শতাংশ বেড়ে ১৭ হাজার ৯৯৯ টিতে দাঁড়ায়। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১৩ হাজার ৭৯৪টি। ২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারির দেখা দেয়ার পর, ইউডি অনুমতির সংখ্যা এপ্রিলে ৫২০-এ নেমে এসেছিল। যা এর আগের মাসে ছিল ২ হাজার ৯০।
ওই বছরের আগস্টে ইউডি অনুমতির সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৭০৩টি। যা ৫৮.৯ শতাংশ বেড়ে চলতি বছরের আগস্টে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭০৬টিতে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলেন, অর্থনীতি পুনরায় চালু হওয়ায় পোশাকের খুচরা বিক্রেতাদের গুদাম খালি হয়ে গেছে। কারণ, মানুষ বেশি করে পোশাক কিনেছে। চাহিদা বৃদ্ধির ফলে ফ্যাশন ব্র্যান্ড এবং খুচরা বিক্রেতারা বেশি অর্ডার দিচ্ছে। তারা বলেন, কাজের বাড়তি অর্ডার রপ্তানিকারকদের জন্য ভালো দাম পাওয়ার আলোচনার সুযোগ তৈরি করেছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ১২.৫৫ শতাংশ বেড়ে ৩১.৪৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা আগের অর্থবছরে ছিল ২৭.৯৫ বিলিয়ন ডলার।
সানবিডি/এনজে