বিনিয়োগের ভালো জায়গা বাংলাদেশের পুঁজিবাজার: আরিফ খান

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২১-০৯-২৩ ০৭:০৪:১০


পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক কমিশনার ও শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান বলেছেন, বিনিয়োগর ভালো জায়গা বাংলাদেশের পুঁজিবাজার। অনেক কোম্পানি খুব ভালো লভ্যাংশ দিচ্ছে।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সুইজারল্যান্ডে জেনেভায় অনুষ্ঠিত ‘ইনভেস্টর সামিট: বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেটস’ শিরোনামে ‘রোড শো’তে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এ কথা বলেন।

আরিফ খান বলেন, বাংলাদেশের মিউচুয়াল ফান্ডের বাজার মোট তিন শতাংশ, যা আমরা টার্গেট নিয়েছি ৪ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার। এছাড়া পুঁজিবাজারের ভালো কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের এখন অনেক বেশি লভ্যাংশ দেয়। যার ফলাফল পুঁজিবাজারে ইতোমধ্যে দেখা গেছে। হংকংয়ের ফ্রন্টিয়ার জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বাংলাদেশ এশিয়ার সেরা পুঁজিবাজারে উঠে এসেছে। এদিকে বাজার মূলধন বেড়ে দাড়িয়েছে ৬৫ বিলিয়ন ডলারে। আমাদের দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দিন দিন বাড়ছে।

 

আরিফ খান বলেন, বাংলাদেশ আজ অনেক ক্ষেত্রেই নিজেদের উপর নির্ভরশীল। অভ্যন্তরিন চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করছে। ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের রয়েছে অপার সম্ভাবনা। আগামী এক দশকে ভারতের চেয়ে অনেক গুণ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি। অর্থনীতির সকল সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে বিদেশিদের উপর নির্ভরশীল ছিলো ৯৮ শতাংশ। যা বর্তমানে কমে দাড়িয়েছে ৩ শতাংশে। এখানে প্রচুর শ্রমিক রয়েছে, তাদের মধ্যে ৩৭ শতাংশ মহিলা শ্রমিক রয়েছে। শিক্ষার হার ১৯৮৮ সালে ছিলো ২৮ শতাংশ, যা বর্তমানে দাড়িয়েছে ৭৬ শতাংশ। দেশটি রেমিট্যান্স আহরণে বিশ্বের মধ্যে অষ্টম। এছাড়া বিদেশি রিজার্ভের পরিমাণ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা অনেক গর্বের সাথে বলতে পারি, খাদ্যে স্বয়ংসম্পর্ণ আমাদের দেশ। এছাড়া পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় বাংলাদেশ। বাসস্থান শহর থেকে গ্রাম পর্যায়ে বৃদ্ধি করা হচ্ছে এখন। আমাদের দেশের মানুষের অধিকাংশ প্রয়োজনীয়তা পূরণ হয়েছে।

সাবেক এই কমিশনার বলেন, গত দশ বছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ। আর মোট জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ৩১ শতাংশ। প্রবৃদ্ধিকে সাপোর্ট দিতে ২০২০ সালে বাংলাদেশের অবকাঠামোখাতে ৪০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। ২০১১ সালে বাংলাদেশের মাথা পিছু আয় ছিল ৮৬০ মার্কিন ডলার। বর্তমানে তা ২ হাজার ২২৭ ডলারে উন্নীত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

আরিফ খান বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। করোনার মধ্যেও ২০২০ সালে প্রবাসী আয়ে (রেমিট্যান্স) ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ছিল। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পূর্বাভাস অনুসারে করোনার মধ্যে ২৩ দেশ অর্থনৈতিকভাবে ইতিবাচক অবস্থানে থাকবে।

সংস্থাটি বলছে, এরমধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এছাড়াও বর্তমানে বাংলাদেশে মোট শ্রমশক্তি ৭ কোটি। এর মধ্যে সাড়ে ৫ কোটিই বয়সে তরুণ। ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি অত্যান্ত সম্ভাবনাময়। এছাড়া দশ লক্ষ মানুষ ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত রয়েছে। এদিকে ২০০৯ সালের পর থেকে বাংলাদেশের ব্যান্ডউইথ মূল্য ধারাবাহিক কমে গেছে এবং বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্যাবহারকারীর সংখ্যা।

অনুষ্ঠানে এসময় উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদার, তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, (বেপজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য আলমগীর হোসেন ও বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

পুঁজিবাজারের সব খবর পেতে জয়েন করুন 

Sunbd Newsক্যাপিটাল নিউজক্যাপিটাল ভিউজস্টক নিউজশেয়ারবাজারের খবরা-খবর