৫২টি জটিল রোগে আর্থিক সুরক্ষা দিতে মেটলাইফের নতুন স্বাস্থ্য বীমা

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২১-১০-০৩ ১৬:৫০:৪২


বাংলাদেশে জীবননাশী হিসেবে চিহ্নিত অসুস্থতা যেমন হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, শ্বাসতন্ত্রের অসুখ, ক্যান্সার, কিডনির অসুখ এবং ডেঙ্গুসহ ৫২টি অসুস্থতায় ৮০ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুরক্ষা দেয়ার জন্য “ক্রিটিকাল ইলনেস ইন্সুরেন্স প্রটেকশন প্ল্যান” নামে নতুন একটি স্বাস্থ্য বীমা চালু করেছে মেটলাইফ বাংলাদেশ। দেশে এরকম বীমা এটিই প্রথম।

এটি দেশের একমাত্র স্বাস্থ্য বীমা যেখানে অপেক্ষাকৃত কম সময়ের জন্য (পলিসি গ্রহণের তারিখ থেকে সর্বোচ্চ ২০ বছর পর্যন্ত) প্রিমিয়াম প্রদান করে গ্রাহক এবং তার পরিবার জটিল রোগসমূহের চিকিৎসার জন্য বা পলিসি গ্রাহকের অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর ক্ষেত্রে ৮০ বছর বয়স পর্যন্ত ১ কোটি টাকা পর্যন্ত আর্থিক সুরক্ষা পেতে পারেন। পলিসি গ্রহীতা যদি ৮০ বছর বয়স পর্যন্ত কোনোরকম বীমা দাবি না করে থাকেন তাহলে পলিসির মেয়াদ পূর্তিতে তিনি ১০০% পর্যন্ত পলিসি কভারেজ বা আর্থিক নিরাপত্তা পেতে পারেন ।

বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে এ স্বাস্থ্য বীমাটি চালু করা হয়েছে। কেননা, দেশে মানুষের গড় আয়ু ৭৩ বছরে উন্নীত হলেও বর্তমান সময়ের ব্যস্ত জীবনযাত্রায় অধিক দুশ্চিন্তার ফলে এবং যথাযথ পুষ্টি ও ব্যায়ামের অভাবে মানুষ হার্ট অ্যাটাক, ক্যান্সার ও স্ট্রোকের মত গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-র তথ্য অনুসারে এদেশে ক্যান্সার, কার্ডিও ভাস্কুলার এবং শ্বাসতন্ত্রের রোগের মত নন-কম্যুনিকেবল অসুস্থতা ৬৭% মৃত্যুর জন্য দায়ী।

অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, জটিল রোগ এর দ্রুত রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা ভালো ফলাফল বয়ে আনে, যদিও এক্ষেত্রে চিকিৎসা খরচের ব্যাপকতা ব্যক্তির সঞ্চয় এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ক্রিটিকাল ইলনেস ইন্সুরেন্স প্রটেকশন প্ল্যান বীমা গ্রহীতাকে চিকিৎসা খরচ বহন করতে এবং অসুস্থতার সাথে সম্পর্কিত শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক চাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

এছাড়া, ডেঙ্গু জ্বরের বর্তমান প্রাদুর্ভাব বিবেচনা করে, এই রোগে অকাল মৃত্যু হলে এই স্বাস্থ্য বীমা অতিরিক্ত আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করে।

নতুন এই স্বাস্থ্য বীমা চালু করার বিষয়ে মেটলাইফ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী আলা আহমদ, এফসিএ বলেন, “আমরা আমাদের গ্রাহকদের স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সবচেয়ে কার্যকর সমাধান দিতে চাই। আমরা দেখেছি জটিল অসুস্থতা রোগী ও তাদের পরিবারের ওপর কেমন প্রভাব ফেলে। এজন্য আমরা সবাইকে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং একই সাথে ক্রিটিকাল ইলনেস ইন্সুরেন্স প্রটেকশন প্ল্যান এর মতো সাশ্রয়ী মূল্যের আর্থিক সুরক্ষা নিতে উৎসাহিত করছি। ভবিষ্যতে কি হবে তা হয়তো আজই বলা সম্ভব না, কিন্তু আমরা যা করতে পারি তা হচ্ছে এই অনাগত ভবিষ্যতকে নিরাপদ রাখতে আজই পরিকল্পনা করতে ।”

এএ