গিবতকারীর দোয়া কবুল হয় না
সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২১-১০-০৩ ২১:৩২:০৯
গিবত শব্দটি মুসলিম উম্মাহর নিকট পরনিন্দা হিসাবে পরিচিত। কোনো লোকের অগোচরে তার সম্পর্কে এমন কথা বলা যা শুনলে ওই ব্যক্তি মনে কষ্ট পাবে, ইসলামে তাই গিবত বা পরনিন্দা। গিবতের অপরাধ ব্যভিচার চেয়েও মারাত্মক। ইসলামে গিবত করা হারাম (নিশিদ্ধ) ও কবিরা গোনাহ।
মহান আল্লাহ বলেন, “দুর্ভোগ প্রত্যেকের, যে সামনে এবং পিছনে পরনিন্দা করে।” (সুরা হুমাযাঃ আয়াত ১)
হাদিসে গিবতকারীর তিনটি মারাত্মক ক্ষতির কথা বর্ণিত আছে।
হাদিসে এসেছে- ‘তোমরা গিবত বা পরনিন্দা করা থেকে বেঁচে থাকবে। কারণ তাতে রয়েছে তিনটি ক্ষতি-
১) গিবতকারীর দোয়া কবুল হয় না।
২) গিবতকারীর কোনো নেক আমল কবুল হয় না এবং
৩) আমলনামায় তার পাপ বৃদ্ধি হতে থাকে। (বুখারি)
সুতরাং ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক তথা রাষ্ট্রীয় জীবনে আত্মার পরিশুদ্ধতা লাভে গিবত পরিহার করা অত্যন্ত জরুরি।
গিবতের মারাত্মক অপরাধের বিষয়টি বিশ্বনবির হাদিসে সুস্পষ্টভাবে ওঠে এসেছে,
‘গিবত বা পরনিন্দা ব্যভিচার হতেও গুরুতর অপরাধ। সাহাবাগণ বলেন, ‘হে আল্লাহর রসুল! গিবত কিভাবে ব্যভিচার অপেক্ষা গুরুতর অপরাধ হতে পারে?
রসুলুল্লাহ (সঃ) বলেন, ‘ব্যভিচার করার পর মানুষ আল্লাহর নিকট তাওবা করলে আল্লাহ তাআলা তাওবা কবুল করেন। কিন্তু গিবতকারী ব্যক্তিকে যে পর্যন্ত ওই ব্যক্তি (যার গিবত করা হয়েছে) ক্ষমা না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন না। (মিশকাত)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে গিবতের ভয়াবহতা থেকে হিফাজত করুন। গিবত তথা পরনিন্দা করা থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন।
জান্নাতুন ফেরদৌসি
সানবিডি/এনজে