দৌলতদিয়ায় দূরপাল্লার বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি

জেলা প্রতিনিধি আপডেট: ২০২১-১০-০৫ ১৮:০৬:৩৭


দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার নামে পরিচিত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে আবারও যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ বেড়েছে। ফলে নদী পারের অপেক্ষায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দূরপাল্লার বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে।

মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) সকাল থেকেই দৌলতদিয়া ফেরিঘাট পারের অপেক্ষায় রয়েছে শত শত যানবাহন। এর মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা বেশি। এসব পণ্যবাহী ট্রাক এক থেকে দুদিন আগে ঘাট এলাকায় এসে আটকে রয়েছে।

সরেজমিনে ঘাট এলাকায় দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার এলাকা ছয় শতাধিক যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ এসব পণ্যবাহী অসংখ্য ট্রাক দুই দিন আগে নদী পার হতে এসেও ফেরির নাগাল পায়নি। তাদের দিনের পর দিন সিরিয়ালে অপেক্ষা করে ফেরির নাগাল পরে হচ্ছে।

ঘাট-সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, হঠাৎ করেই দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ রুটে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ বেড়েছে। ফলে নদী পার হতে ঘাটে আসা যানবাহনগুলোকে দীর্ঘ সময় ঘাট এলাকায় আটকে থাকতে হচ্ছে। তবে গাড়ির সিরিয়াল কমাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তা ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা দিগন্ত পরিবহনের যাত্রী সোলাইমান শেখ বলেন, ভোরে চুয়াডাঙ্গা থেকে রওনা হয়ে ঘাট এলাকায় আসি সকাল সাড়ে ১০টায়। এখন বেলা ২টা বাজে। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে ফেরিতে ওঠার অপেক্ষা করছি। কিন্তু এখনো ফেরিঘাট থেকে আধা কিলিমিটার দূরে আছি। সামনে এখনো ৭০ থেলে ৮০টা গাড়ি রয়েছে। ফেরির নাগাল কখন পাব বলতে পারছি না। স্ত্রী ও শিশুসন্তান নিয়ে খুব বিপাকে আছি।

বেনাপোল থেকে আসা ট্রাকচালক আলিম মাতুব্বর বলেন, কিছুদিন আগেও এই ঘাট দিয়ে ঢাকা গিয়েছি। তখন এত যানজট ছিল না। আধা ঘণ্টার মধ্যে ফেরিতে উঠতে পেরেছিলাম। কিন্তু গতকাল থেকে ঘাটে এসে আটকে আছি। এখনো ফেরির দেখা পাইনি।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ রুটে বর্তমানে ২০টি ফেরি চলাচল করছে। হঠাৎ করেই যানবাহনের চাপ বাড়ায় ঘাট এলাকায় যানজট তৈরি হয়েছে। যানজট নিরসনে আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যানবাহনগুলো ফেরি পার করছি।

সানবিডি/এন/আই