বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্যতম বড় অংশীদার চীন: বাণিজ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২১-১০-১০ ১৮:২৯:৩৩
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, চীন বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্যতম বড় অংশীদার। ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রেও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ এর সময়ও বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী শিল্প কলকারখানা চালু রাখতে এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সাপ্লাই চেইন চালু রেখে সহযোগিতা করেছে চীন।
রোববার (১০ অক্টোবর) ঢাকায় ইআরএফ কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিসিআই) এবং ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) যৌথভাবে আয়োজিত ‘বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড অন বাইলেটারেল রিলেশনশিপ বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড চায়না’ শীর্ষক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন ঢাকাস্থ চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী এখন বাণিজ্য কূটনীতি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের জন্য প্রতিটি দেশ এখন কূটনীতিকে ব্যবহার করছে। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বেশ ভালো। ফলে চীন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক অংশীদার।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীটাই ব্যবসার ওপর চলছে। বৈশ্বিক রাজনীতি এখন অর্থনৈতিক রাজনীতি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে থাকেন, শুধু রাজনৈতিক কূটনীতিতে হবে না। ব্যবসা বাণিজ্যের বিষয়ে কূটনীতি করতে হবে। সেই কূটনীতিতে যে সফল হবে, সে-ই প্রকৃত সফল।
ইআরএফের উদ্যোগের প্রশংসা করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রচারমাধ্যম একটি দেশের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং উন্নয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিষয়ে ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে বলে আমি মনে করি। আগামী দিনগুলোতেও দেশের স্বার্থে প্রচারমাধ্যম দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে। দায়িত্বশীল রিপোর্টিংয়ের জন্য যারা আজ পুরস্কৃত হচ্ছেন তারা আগামীতে আরও উৎসাহ নিয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। দেশের উন্নয়নের জন্য সম্মিলিতভাবে আমাদের কাজ করতে হবে।
রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, চীন বৈশ্বিক উন্নয়নে কাজ করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। সবুজ ও স্বাস্থ্যসম্মত বৈশ্বিক উন্নয়ন চায় চীন। মানব কল্যাণে এবং কাউকে পেছনে না ফেলে উন্নয়ন চায় চীন। এজন্য আঞ্চলিক উন্নয়ন ও বিভিন্ন উদ্ভাবনে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশও চীনের এ বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ থেকে সহায়তা পাবে। গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের অসাধারণ অগ্রগতি হয়েছে। সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) নির্ধারিত সময়ে অর্জন হয়েছে। আগামী উন্নয়ন লক্ষ্যগুলোও সময়মত অর্জন হবে। ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণ ঘটবে বাংলাদেশের। আর ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৩৫তম অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হবে।
প্রথমবার বিসিসিসিআই ও ইআরএফ যৌথভাবে এ ধরনের অ্যাওয়ার্ডের আয়োজন করল। এতে ইআরএফের অর্ধশতাধিক সদস্য প্রতিবেদন জমা দেন। এর মধ্য থেকে বাংলাদেশ চীনের সম্পর্কের বিভিন্ন খাতভিত্তিক ১০টি ক্যাটাগরিতে ১০টি রিপোর্টকে সেরা হিসেবে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। বিজয়ী রিপোর্টারদের ক্রেস্ট, সনদ ও ৫০ হাজার টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাণিজ্যমন্ত্রী, বিসিসিসিআই সভাপতি গাজী গোলাম মুর্তজা, ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভীসহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্যরা।
এএ