জমিসহ ঘর পাবে নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে ৯ হাজার পরিবার
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২১-১০-১২ ১৬:২২:৪৬
নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ৯ হাজার ৪৪৫ পরিবারকে ২ শতক জমিসহ ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি। আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২১ উপলক্ষে এ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
ডা. এনামুর রহমান বলেন, এ বছর তীব্র বন্যা না হলেও ব্যাপক নদীভাঙন হয়েছে। নদীভাঙনে ৯ হাজার ৪৪৫টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমরা এ তালিকা পাঠিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত সবাই ২ শতক জমিসহ বাড়ি পাবে। অস্থায়ীভাবে তাদের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামীকাল ১৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও মুজিব শতবর্ষে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদার মধ্য দিয়ে পালনের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এ বছর প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘মুজিববর্ষের প্রতিশ্রুতি, জোরদার করি দুর্যোগ প্রস্তুতি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভৌগলিক অবস্থান ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগ প্রবণ দেশ। মুজিব বর্ষকে সামনে রেখে দুর্যোগ মোকাবিলায় পূর্ব প্রস্তুতিকে জোরদার করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে আমরা কার্যক্রম গ্রহণ করছি।
তিনি বলেন, দুর্যোগে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে দুর্যোগসহনীয় টেকসই নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় পরিকল্পিতভাবে কাঠামোগত ও অবকাঠামোগত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা থেকে মানুষের জানমাল রক্ষার্থে মাটির কিল্লা নির্মাণ করা হয়, যা সর্ব সাধারণের কাছে মুজিব কিল্লা নামে পরিচিত। তারই আধুনিক রূপে উপকূলীয় ও বন্যা উপদ্রুত ১৪৮টি উপজেলায় ৫৫০টি মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উপকূলীয় দুর্গত জনগণ যেমন সেখানে আশ্রয় নিতে পারবে তেমনি তাদের প্রাণিসম্পদকে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারবে।
ডা. এনামুর রহমান বলেন, সকল দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা সফলতা অর্জন করেছি কিন্তু সত্যি কথা বলতে ভূমিকম্পে আমরা এখনো সে রকম সফলতা পাইনি। তবে একটি সুখবর, বাংলাদেশ সরকার ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড তৈরি করেছে। এটা গেজেট হয়েছে, এখন বাস্তবায়িত হচ্ছে। বিল্ডিং কোড মেনে যদি আগামীতে ভবন তৈরি করা হয় তাহলে সেগুলো ভূমিকম্প-সহনীয় হবে। কারণ এগুলো ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প-সহনীয় হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে। অন্যান্য যেসব পুরাতন ভবন রয়েছে সেগুলো ভূমিকম্প-সহনীয় করতে জাইকার সঙ্গে একটি সমঝোতায় আসা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৫০ বছর মেয়াদি একটি কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। আমাদের দেশে প্রথম ধাপে যে বাড়িগুলো হয়েছে কোনো নকশা ছাড়া। যেগুলোতে রড সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়নি বয়স একশ-দুইশ-চারশো বছর, আমরা সেগুলো ভেঙে কোড অনুযায়ী নতুন করে ভবন নির্মাণ করে দেবো। এতে জাপান সরকার কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা দেবে।
এএ