বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-১০-১৫ ১৪:৩১:০৮
গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স বা বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। ২০২১ সালের বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ১১৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৬তম। অন্যদিকে এই সূচকে পাকিস্তানের অবস্থান ৯২তম ও ভারতের ১০১তম।
২০২০ সালে ১০৭টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ছিল ৯৪তম। এখন ১১৬টি দেশের মধ্যে ১০১তম স্থান।
প্রতি বছর আয়ারল্যান্ডের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড’ এবং জার্মান সংস্থা ‘ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফ’ যৌথভাবে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে ক্ষুধার পরিমাণ নির্ধারণ করে। প্রতিবেদনে ভারতে ক্ষুধার মাত্রাকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
ভারতের জিএইচআই স্কোরও হ্রাস পেয়েছে। ২০০০ সালে স্কোর ছিল ৩৮.৮। তবে ২০১২ থেকে ২১-এর সময়পর্বে এই স্কোর ২৮.৮ থেকে ২৭.৫-এর পরিসরে রয়েছে।
অবশ্য ২০২০ সালের ১০৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৫তম। সেই হিসেবে চলতি বছর বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের একধাপ অবনতি হয়েছে। এছাড়া নেপালও যৌথভাবে বাংলাদেশের সাথে ৭৬ নম্বরে রয়েছে।
যেভাবে জিএইচআই স্কোর গণনা করা হয়
জিএইচআই স্কোর চারটি সূচকে গণনা করা হয়-
১. অপুষ্টি
২. শিশু অপচয় : পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে যাদের উচ্চতার তুলনায় কম ওজন, তীব্র অপুষ্টি রয়েছে।
৩. শিশুর বৃদ্ধি স্টান্টিং : পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা যাদের বয়সের তুলনায় উচ্চতা কম, বৃদ্ধি অত্যন্ত ধীর, দীর্ঘস্থায়ী অপুষ্টির প্রতিফলন।
৪. শিশু মৃত্যুহার : পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর হার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘কোভিড-১৯ এবং ভারতে মহামারী সম্পর্কিত বিধিনিষেধের কারণে মানুষ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারতে বিশ্বব্যাপী শিশু অপচয়ের হার সবচেয়ে বেশি।’
হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেপাল (৭৬), বাংলাদেশ (৭৬), মিয়ানমার (৭১) এবং পাকিস্তান (৯২) ইত্যাদি দেশও ‘ভয়াবহ ক্ষুধা’ শ্রেণীর মধ্যে রয়েছে। কিন্তু ভারতের তুলনায় এই দেশগুলো ক্ষুধার দিক দিয়ে বেশি উন্নত স্তরে রয়েছে।
খাদ্য সুরক্ষা একাধিক কারণে অনিশ্চিত। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ক্রমবর্ধমান সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন এবং কোভিড-১৯ মহামারীর সাথে যুক্ত অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যগত চ্যালেঞ্জগুলো আরো বেশি ক্ষুধা সৃষ্টি করছে।’
এএ