পাওয়ার সাব-সেক্টরের কতিপয় কোম্পানী পর্যালোচনা

:: আপডেট: ২০২১-১০-১৯ ১১:৪৩:০৮


ফুয়েল এন্ড পাওয়ার সেক্টর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত। আমাদের প্রাত্যহিক ব্যক্তিগত জীবনযাপন, দাপ্তরিক কাজকর্ম সম্পাদন ও সেইসাথে শিল্প কারখানা চালানোর জন্য বিদ্যুৎ এর আবশ্যকীয়তা বিবেচনায় এ সেক্টরের গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের শেয়ার মার্কেটেও এটি অন্যতম বৃহৎ সেক্টর। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বর্তমানে ফুয়েল এন্ড পাওয়ার সেক্টরে মোট ২৩টি কোম্পানী তালিকাভূক্ত রয়েছে যার মধ্যে ১১টি কোম্পানী পাওয়ার সাব-সেক্টরের। তাদের মধ্যে ৯টি কোম্পানী সরাসরি বিদ্যুৎ উৎপাদন, ১টি সঞ্চালন এবং ১টি বিতরণের সাথে জড়িত। অন্যান্য সেক্টর বা সাব-সেক্টরের মত পাওয়ার সাব-সেক্টরের কোম্পানীগুলোর মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য লক্ষ্যনীয়। বিভিন্ন কোম্পানীর সাইজ ও পেইড আপ ক্যাপিটাল, মার্কেট শেয়ার, ইপিএস, আর্থিক ভিত্তি, ম্যানেজমেন্ট কোয়ালিটি, ইত্যাদি নানা সূচক তথা ইন্ডিকেটরেই পার্থক্য রয়েছে। তাই পাওয়ার সাব-সেক্টরের আওতাধীন কোম্পানীর নিজস্ব বৈশিষ্ট্য দেখেই বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত। নীচে কতিপয় মৌল ইন্ডিকেটরের আলোকে এ সাব-সেক্টরের আওতাধীন কোম্পানীসমূহের তথ্য সম্বন্ধে লেখকের সংক্ষিপ্ত অভিমত তুলে ধরা হলো।

বারাকা পাওয়ারঃ বর্তমান পি-ই রেশিও ১০.৬৩ যেটি খুবই গ্রহণযোগ্য। ২০১২ সাল থেকে সামগ্রিকভাবে কোম্পানীর ইপিএস, মোট প্রফিট, এবং টার্ণওভার মোটামুটিভাবে বেড়ে চলেছে। স্টক ও ক্যাশ মিলিয়ে ডিভিডেন্ড দেয়া হয় এবং তা শতকরা ১০ থেকে ২০ পারসেন্ট এর মধ্যে থাকে। সব মিলিয়ে কোম্পানীর পারফর্মেন্স সন্তোষজনক বিবেচিত হতে পারে।

বিপিপিএলঃ বারাকা পতেংগা পাওয়ার লিঃ তালিকাভূক্ত বারাকা পাওয়ার এর একটি অংগ প্রতিষ্টান। এ কোম্পানীটি কিছুদিন পূর্বে তালিকাভূক্ত হয়েছে। এর বর্তমান পি-ই রেশিও ১২.৪৪ যেটি গ্রহণযোগ্য। তবে এ বছরের জুন থেকে আগষ্ট পর্যন্ত কোম্পানীটিতে প্রাতিষ্টানিক বিনিয়োগের হার কমেছিল, যেটি আবার ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে। অনিরীক্ষিত হিসাব মোতাবেক বর্তমান এন্যুয়ালাইজড ইপিএস হচ্ছে ৩.৮৭ টাকা। কোম্পানীটি মাত্র কিছুদিন আগে তালিকাভূক্ত হওয়ার ফলে বিগত বছরসমূহের প্রকৃত ইপিএস, ডিভিডেন্ড হার, টার্ণওভার, মোট মুনাফার মত প্রয়োজনীয় সব তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই আগামীতে কোম্পানীটি কেমন করবে সে সম্বন্ধে মন্তব্য করা কঠিন।

ডেসকোঃ এটি সরকারী মালিকানাধীন পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী, যার বর্তমান পি-ই রেশিও ৬৯.০৭ যেটি খুব বেশী বলে প্রতীয়মান হয়। ২০১২ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কোম্পানীর তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায় যে ইপিএস, ডিভিডেন্ড হার ও মোট প্রফিট ক্রমাগতভাবে কমছে যা ভাল লক্ষণ নয়। উদাহরণস্বরুপ, ২০১২ সালে ইপিএস যেখানে ছিল ৩.২২ টাকা ২০২০ সালে তা কমে দাঁড়ায় মাত্র ১.১৫ টাকায়। তেমনিভাবে ২০১২ সালে ক্যাশ ও স্টক মিলিয়ে ডিভিডেন্ড হার ছিল ২৫% যেটি ২০২০ সালে ১০% এ নেমে আসে। তবে কোম্পানীর নীট এ্যাসেট ভ্যালু (NAV) ক্রমাগতভাবে সামান্য হলেও বাড়ছে এবং সরকারী প্রতিষ্টান হওয়ার কারণে কোম্পানীর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা রয়েছে।

ডরিন পাওয়ারঃ কোম্পানীর বর্তমান পি-ই রেশিও ১০.১৪ যা ভাল। ২০১২ সাল থেকে সামগ্রিকভাবে কোম্পানীর ইপিএস, NAV, মোট প্রফিট, এবং টার্ণওভার সন্তোষজনকভাবে বেড়ে চলেছে। যেমন ২০১৩ সালে ইপিএস যেখানে ছিল মাত্র ২.২৮ টাকা তা ২০২০ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৬.০৮ টাকা। স্টক ও ক্যাশ মিলিয়ে ডিভিডেন্ড দেয়া হয় এবং তা শতকরা ২০ থেকে ২৫ পারসেন্ট এর মধ্যে থাকে। স্পন্সরদের শেয়ার ধারণের হার শতকরা ৬০ ভাগের বেশী যা ভাল লক্ষণ। সব মিলিয়ে কোম্পানীর পারফর্মেন্স সন্তোষজনক বিবেচিত হতে পারে।

ইপিজিএলঃ এনার্জি প্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিঃ কোম্পানীটি কিছুদিন আগে স্টক মার্কেটে তালিকাভূক্ত হয়েছে। এর বর্তমান পি-ই রেশিও ২৭.৩৬ যেটি পাওয়ার সাব-সেক্টরে অন্যান্য কোম্পানীর চেয়ে বেশ বেশী। অনিরীক্ষিত হিসাব মোতাবেক বর্তমান এন্যুয়ালাইজড ইপিএস হচ্ছে মাত্র ১.৮৫ টাকা। কোম্পানীটি সম্প্রতি তালিকাভূক্ত হওয়ার ফলে বিগত বছরসমূহের প্রকৃত ইপিএস, ডিভিডেন্ড হার, টার্ণওভার, মোট মুনাফা জাতীয় প্রয়োজনীয় সব তথ্য পাওয়া যায়নি। সে কারণে এ কোম্পানীর শেয়ারে বিনিয়োগ ঝুঁকি কিছুটা বেশী।
জিবিবিপাওয়ারঃ জিবিবি পাওয়ার লিঃ এর বর্তমান পি-ই রেশিও ২৭.৮৩, যেটি পাওয়ার সাব-সেক্টরে অন্যান্য কোম্পানীরে চেয়ে বেশ বেশী। ২০১২ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সামগ্রিকভাবে কোম্পানীর ইপিএস এবং মোট প্রফিট ক্রমাগতভাবে কমেছিল। তবে ২০২০ সাল থেকে কোম্পানী অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে- ইপিএস, টার্ণওভার এবং প্রফিট কিছুটা হলেও বেড়েছে। কোম্পানীর ডিভিডেন্ড প্রদানের হার ও ধরণ অনিশ্চিত- আগে শুধু স্টক ডিভিডেন্ড দিতো, এখন শুধু ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়, আবার বেশ কিছু বছরে কোন ডিভিডেন্ড ঘোষনা করে নাই। সব মিলিয়ে বলা যায় এ কোম্পানীর শেয়ারে কিছুটা হলেও ঝুঁকি এ সাব-সেক্টরের আওতাধীন অনেক কোম্পানীর চেয়ে বেশী।

কেপিসিএলঃ খুলনা পাওয়ার কোঃ লিঃ এর বর্তমান পি-ই রেশিও ১৩.১৩ যেটি গ্রহনযোগ্য বলে বিবেচিত হয়। মোট প্রফিট ও ইপিএস বিবেচনায় দেখা যায় যে পূর্বের তুলনায় উভয়ই কিছুটা কমে গেছে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় যে যেখানে ২০১৩ সালে ইপিএস ছিল ৫.৬২ টাকা তা ২০২০ সালে এসে দাঁড়ায় মাত্র ৩.২০ টাকায়। ডিভিডেন্ড ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, প্রথমদিকে আস্তে আস্তে ডিভিডেন্ড হার বাড়লেও ২০১৬ সালের পর থেকে তা ক্রমাগতভাবে কমে যাচ্ছে, যদিও তা এখন পর্যন্ত আকর্ষণীয় রয়েছে। সরকারী সংস্থার সাথে বিদ্যুত সরবরাহ চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার ফলে কোম্পানীর বিষয়ে সাম্প্রতিককালে অনিশ্চয়তা তৈরী হয়েছিল, যা এখন কেটে গেছে। সংশোধিত আইনবলে কোম্পানীর পক্ষে সরকারী সংস্থার সাথে বিদ্যুত সরবরাহ চুক্তির নবায়ন এখন করা সম্ভব হবে।

পাওয়ারগ্রীডঃ এটি সরকারী মালিকানাধীন পাওয়ার সঞ্চালন কোম্পানী, যার বর্তমান পি-ই রেশিও ১২.৭৯ যেটি গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়। ২০১৫ সাল থেকে সামগ্রিকভাবে কোম্পানীর ইপিএস, NAV, মোট প্রফিট, ডিভিডেন্ড হার এবং টার্ণওভার ক্রমাগতভাবে বেড়ে চলেছে। যেমন ২০১৫ সালে ইপিএস যেখানে ছিল মাত্র ০.৯০ টাকা তা ২০১৯ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৮.৩৩ টাকায়। অবশ্য ২০২০ সালে তা কিছুটা কমে ৪.৪৫ টাকা হয়। ২০১৩ সালের পর থেকে কোম্পানীটি শুধুমাত্র ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়ে আসছে, যার হার আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৯ ও ২০২০ সালে ২০% হারে ডিভিডেন্ড দেয়া হয়েছিল। এটি সরকারী মালিকানাধীন এবং বিদ্যুত সঞ্চালনে একমাত্র কোম্পানী হওয়ার সুবাদে মনোপলি সুবিধা থাকায় এ কোম্পানীতে বিনিয়োগে দীর্ঘমেয়াদে তেমন ঝুঁকি নেই। সব মিলিয়ে কোম্পানীর পারফর্মেন্স সন্তোষজনক বিবেচিত হতে পারে।

এসপিসিএলঃ শাহজাদপুর পাওয়ার কোঃ লিঃ (এসপিসিএল) এর বর্তমান পি-ই রেশিও ২০.৪১ যেটি পাওয়ার ইন্ডাষ্ট্রি বিবেচনায় কিছুটা বেশী। এ কোম্পানীর ডিভিডেন্ড প্রদানের হার বরাবরই সন্তোষজনক- প্রায় ৩০% এর মত। ২০১২ সাল থেকে সামগ্রিকভাবে কোম্পানীর ইপিএস, NAV, মোট প্রফিট এবং টার্ণওভার ক্রমাগতভাবে বেড়ে চলেছে। যেমন ২০১২ সালে ইপিএস যেখানে ছিল মাত্র ২.১২ টাকা তা ২০২০ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৪.৪৭ টাকায়। তবে কোম্পানীর ডিভিডেন্ড হার স্থির অবস্থানে রয়েছে। ইপিএস বাড়া সত্বেও ডিভিডেন্ড হার না বৃদ্ধির কারণ ম্যানেজমেন্ট নীট প্রফিটের কম পরিমাণ শেয়ারহোল্ডারদেরকে প্রদান করছে। কোম্পানীর প্রতি মানুষের আস্থার ফলে শেয়ার দাম বৃদ্ধি পেয়ে পি-ই রেশিও বেড়ে গেছে- তবে তা সীমা অতিক্রম করেনি। সব মিলিয়ে কোম্পানীর পারফর্মেন্স সন্তোষজনক বিবেচিত হতে পারে।

সামিট পাওয়ারঃ পাওয়ার কোম্পানীগুলোর মধ্যে সামিট পাওয়ার সবচেয়ে বড় পেইড-আপ ক্যাপিটাল (১০৬৮ কোটি টাকা) বিশিষ্ট কোম্পানী। এটি মার্কেট লিডারও বটে। বর্তমানে পি-ই রেশিও মাত্র ৯.০৫ যেটি পাওয়ার ইন্ডাষ্ট্রি বিবেচনায় সবচেয়ে কম। এ কোম্পানীর ডিভিডেন্ড প্রদানের হার বরাবরই সন্তোষজনক- প্রায় ৩৫% এর মত। তবে কোম্পানীটি সাধারনত স্টক ডিভিডেন্ড দেয় না। ২০১৪ সাল থেকে সামগ্রিকভাবে কোম্পানীর ইপিএস, NAV, মোট প্রফিট, টার্ণওভার এমনকি ডিভিডেন্ড হারও ক্রমাগতভাবে বেড়ে চলেছে। যেমন ২০১৪ সালে ইপিএস যেখানে ছিল মাত্র ৩.২৬ টাকা তা ২০২০ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৫.২৫ টাকায়, আর ২০১৪ সালে ১৫% ডিভিডেন্ডের বিপরীতে ২০২১ সালের ডিভিডেন্ড ৩৫%। আধুনিক ও দক্ষ ম্যানেজমেন্ট এবং সেইসাথে অত্যন্ত লাভজনক হওয়া সত্বেও মূলত কোম্পানীর পেইড-আপ ক্যাপিটাল অত্যধিক হওয়ার ফলে শেয়ারটির প্রতি মার্কেট ম্যানিপুলেটরদের আগ্রহ কম। আর সেজন্য ভাল ইপিএস সত্বেও দাম তেমন না বাড়ার ফলে পি-ই রেশিও কম আছে। দীর্ঘমেয়াদের জন্য এই কোম্পানীর শেয়ারে বিনিয়োগ বেশ লাভজনক হতে পারে।

ইউপিজিডিসিএলঃ ইউনাইটেড পাওয়ার জ়েনারেশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিঃ পাওয়ার কোম্পানীগুলোর মধ্যে অন্যতম লাভজনক ও আদর্শ কোম্পানী। প্রায় ৫৮০ কোটি টাকা পেইড-আপ ক্যাপিটাল বিশিষ্ট ইউপিজিডিসিএল এর বর্তমানে পি-ই রেশিও ১৪.৮০ যেটি গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়। সামিট পাওয়ার কোম্পানীর মত ইউপিজিডিসিএল এর ইপিএস, NAV, মোট প্রফিট, টার্ণওভার এবং ডিভিডেন্ড হার ক্রমাগতভাবে বেড়ে চলেছে। ২০২০ সালে কোম্পানীটি ১০% স্টক এবং ১৪৫% ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। প্রায় প্রতি বছরই সামান্য স্টক ডিভিডেন্ডের সাথে উচ্চ হারে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়া হয়, যেটা দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকারীদের জন্য লাভজনক। তবে কোম্পানীর শেয়ারের উচ্চ দামের ফলে ডিভিডেন্ড ইল্ড বেশ কম। কোম্পানীটি প্রডাক্ট ডাইভারসিফিকেশনের দিকে নজর দিয়েছে যাতে করে ভবিষ্যতে পাওয়ার প্লান্টে আয় কমে গেলেও অন্য খাতের বিনিয়োগ থেকে পুষিয়ে নেয়া যায়। দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করতে চান যারা তাঁরা এই কোম্পানীর শেয়ার ক্রয়ের বিষয় বিবেচনা করতে পারেন।

উপরে ফুয়েল এন্ড পাওয়ার সেক্টরের আওতাধীন পাওয়ার সাব-সেক্টরের কোম্পানীগুলো সম্বন্ধে যে মন্তব্য করা হলো তা লেখকের নিজস্ব অভিমত। তাই বিনিয়োগকারীদের উচিত নিজের বিচার বুদ্ধির আলোকে যথাসম্ভব যাচাই বাছাই করে সঠিক সময়ে প্রত্যাশিত কোম্পানীর শেয়ার ক্রয় কিংবা বিক্রয় করা। ফান্ডামেন্টাল তথ্যের ভিত্তিতে কোন কোম্পানীর শেয়ার ক্রয় বা বিক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর তা সঠিক সময়ে বাই কিংবা সেল করতে পারলে সর্বোচ্চ লাভ ঘরে তোলা সম্ভব হতে পারে। আর সঠিক সময়ে বাই-সেল করতে টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর সাহায্য করতে পারে। সাধারন বিনিয়োগকারীরা সে বিষয়টি মাথায় রেখে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিতে পারলে দেশের শেয়ার মার্কেট অনেক স্থিতিশীল হবে বলে আশা করা যায়।

সতর্কতাঃ পাবলিক ড্যাটা এর ভিত্তিতে বর্ণিত কোম্পানীগুলো সম্পর্কে যেসব মন্তব্য করা হয়েছে তা একান্তই লেখকের নিজস্ব মতামত যার সাথে বাস্তবের মিল নাও থাকতে পারে। তাই সেসব মন্তব্যের ভিত্তিতে কোন কোম্পানীর শেয়ার ক্রয় বা বিক্রয় থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা যাচ্ছে। অন্যথায় কারো ব্যক্তিগত আর্থিক ক্ষতির জন্য কোনক্রমেই লেখক দায়ী থাকবে না।

শফিকুল ইসলাম
Email: msislam201386@gmail.com