অ্যালার্জি প্রতিরোধে ৭টি খাবার
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-১০-২০ ১৫:৪০:৪৩
বহু মানুষ অল্পতেই অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হয়। অ্যলার্জির প্রধান লক্ষণ হাঁচ্চি, কাশি সর্দি, চুলকানি ইত্যাদি। বেশিভাগ ক্ষেত্রে নাকদিয়ে পানি ঝরার সমস্যাটি অ্যালার্জিতে প্রথমে শুরু হয়। অ্যালার্জির অনেক কারণের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বাতাসে ধুলাবলি ও আবর্জনার উপস্থিতি। আক্রান্ত হলে অ্যান্টিহিস্টিমিন গোত্রের ওষুধ সেবনে উপকার হয়। কিন্তু শরীরে অ্যালার্জি প্রতিরোধে ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে কিছু খাবার ভালো কাজ করে।
আনারস:
অনেক রকমের খনিজ উপাদান ও এনজাইম থাকে। এর মধ্যে ব্রোমেলিন নামের একটি এনজাইম আছে, যা ঋতু জনিত অ্যলার্জি প্রতিরোধে কাজ করে। যাঁরা সরাসরি আনারস খেতে পারেননা, তাঁরা অ্যালার্জি প্রতিরোধে ব্রোমেলিন সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন।
স্পিরুলিনা:
খেতে খুব সুস্বাদু নয়, কিন্তু বাংলাদেশের প্রায় সকল ঔষুধের দোকানে পাওয়া যায়। এতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডের উল্লেখযোগ্য উপস্থিত রয়েছে। এছাড়া আছে এইকোসাপেনটয়েনিক এসিড, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
জাম ও বেরি:
গ্রীষ্মকাল জামের সময়। এতে পাওয়া যায় অ্যানথোসায়ানিনস নামে স্বাস্থ্যর পলিনিউট্রেয়েন্টস। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। অ্যালার্জির বিরেুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
আপেল:
বলা হয় প্রতিটি আপেল খেলে রোগবালাই শত হাত দূরে থাকে। এতে কোয়েরসিন নামের শক্তিশালী অ্যান্টি অক্রিডেন্ট থাকে। এটি শরীরের কোষকে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচায় ও অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে।
হলুদ:
এর কাজ কেবল তরকারি সুন্দর করা নয়। এতে থাকে পর্যাপ্ত পরিমান কারকামিন। এটিও খুব ভালো অ্যান্টি অক্রিডেন্ট। অ্যালার্জি প্রতিরোধেও হলুদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে।
টক ফল:
লেবু, কমলা, মাল্টা, আঙুর ইত্যাদি টকস্বাদযুক্ত ফলে থাকে বায়োফ্ল্যাভেনয়েড হেসপারিডিন। এটি আক্রান্ত ব্যাক্তির আর অ্যালার্জি বাড়তে দেয় না। একই সঙ্গে এগুলো ভিটামিন ‘সি’রও ভালো উৎস।
মধু:
বেশকিছু গবেষনায় দেখা গেছে মধু শরীরে অ্যালার্জি প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। গবেষকরা বলছেন, মধু টিকা বা ভ্যাকসিনের মতো কাজ করে। তাই নিয়মিত মধু খেলে অ্যালার্জি কম হয়।
গ্রন্থনা: ডা.মুজাহিদুল ইসলাম
সানবিডি/ এন/আই