ফের ভারতীয় নিম্নমানের চাল, চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২১-১০-২১ ১৬:১২:৫৮


জিটুজি চুক্তির আওতায় গত আগস্টে ভারত থেকে চট্টগ্রামে পৌঁছে ৫০ হাজার টন সিদ্ধ চাল আমদানির ১৯ হাজার ২০০ টন চাল। তবে চালানে নিম্নমানের চালের মিশ্রণ থাকায় তা গ্রহণ করেনি সরকার। নমুনা পরীক্ষা শেষে জাহাজ থেকে খালাসের পর ৩ হাজার ২৮৯ টন চাল চলে যায় গুদামে। যার প্রায় ১শ’ বস্তায় মেলে খাবার নিম্নমানের চাল। ফলে প্রায় আড়াই মাস ধরে চট্টগ্রামে আটকা পড়ে ওই চালবাহী জাহাজ। অবশেষে সরবরাহকারীকে আদালতের দেয়া খালাসের নির্দেশে কেটেছে সংকট।

পরে পুনঃরায় নমুনা পরীক্ষায় দেখা যায়, চুক্তি অনুযায়ী ৬-৭ শতাংশ ভাঙা চাল সহনীয় হলেও এক্ষেত্রে মেলে প্রায় ১০ শতাংশ। আর ঘোলা, লাল ও কালো দানাযুক্ত চাল ৪ শতাংশ পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য হলেও এ চালানে পাওয়া যায় ৬০ শতাংশের বেশি। কর্মকর্তারা জানান, সচরাচর নমুনা নেয়া হয় জাহাজের ওপরের অংশ থেকে। যেখানে ছিল ভাল চাল। খারাপ চালগুলো ছিল নিচের দিকে। এমন বাস্তবতায় চালানটি গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জহিরুল ইসলাম খান জানান, আমদানি চুক্তির নীতিমালা অনুযায়ী চাল না আসায় সরকার এ চাল গ্রহণ করেনি। এছাড়া সরবরাহকারীকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চাল খালাসের অনাপত্তিপত্র দেয় সরকার।

খাদ্য বিভাগ বলছে, চালানটিতে ভালো-খারাপ চাল মিশে আছে। তারপরও এগুলো গছিয়ে দিতে তৎপর সরবরাহকারী। এরমধ্যে ৬টি লাইটার জাহাজেও বোঝাই করা হয় চাল। তবে সংকট না কাটায় শেষ পর্যন্ত প্রায় আড়াই মাস ধরে আটকে থাকা জাহাজ এমভি ড্রাগন কর্তৃপক্ষ সরবরাহকারীর বিরুদ্ধে মামলা করলে আদালত চালগুলো খালাস করে দ্রুত জাহাজ ছেড়ে দেয়ার নির্দেশনা দেন।

জাহাজ মালিকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম আমিনুল ইসলাম নজির জানান, জাহাজ মালিকের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরবরাহকারীকে চাল খালাস করে জাহাজ ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, চলতি বছর ভারত থেকে আনা ১৯ হাজার টন চিকন চালের অন্য একটি চালানেও ৪ হাজার টন নিম্নমানের চাল পাওয়া যায়।

এএ