শুটকি সংগ্রহে দুবলার চরে যাত্রা করছেন জেলেরা
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-১০-২৬ ১৫:১৩:০৭
দুবলার চরে নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে শুটকি মৌসুমের শুরু। এ লক্ষ্যে উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে চলছে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা। সাগরে যেতে যে যার মতো প্রস্তুত করছেন জাল, দড়ি, নৌকা-ট্রলার। কেউ কেউ গড়ছেন নতুন ট্রলার, আবার কেউ পুরাতনটিকে মেরামত করে নিয়েছেন। সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে ইতোমধ্যে অনেকে চলে এসেছেন মোংলা ও পশুর নদীতে।
আজ মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) বনবিভাগের পাস নিয়েই তারা রওনা হচ্ছেন সাগর পাড়ের দুবলার চরে। সাগরে এখন আর দস্যুদের উৎপাত না থাকলেও ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি মাথায় নিয়েই দুবলায় যাত্রা শুরু করেছেন জেলেরা।
বঙ্গোপসাগর পাড়ে সুন্দরবনের দুবলার চরে ১ নভেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত শুটকি মৌসুমে ব্যস্ত সময় পার করবেন জেলেরা। টানা পাঁচ মাস সেখানে থাকতে হবে জেলেদের। তাই সাগর পাড়ে গড়তে হবে অস্থায়ী থাকার ঘর, মাছ শুকানোর চাতাল ও মাচা। সেসব তৈরিতে ব্যবহার করা যাবে না সুন্দরবনের কোনও গাছপালা-লতাপাতা। তাই বনবিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী চরের উদ্দেশে যাত্রার প্রস্তুতি নেওয়া জেলেরা তাদের ট্রলারে করে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন প্রয়োজনীয়
এ বিষয়ে জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির মোংলা শাখার সভাপতি বিদ্যুৎ মন্ডল ও সাধারণ সম্পাদক মো. জালাল শেখ বলেন, এবার দুবলার চরে শুটকি করতে মোংলার আড়াইশ’ থেকে তিনশ’ ট্রলারে জেলেরা যাচ্ছেন। ওই সব ট্রলারে জেলেরা এখান থেকে সব ধরনের সরঞ্জাম নিয়ে যাচ্ছেন।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, শুটকি মৌসুমকে ঘিরে এবারও উপকূলের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১০ হাজার জেলে সমবেত হবেন দুবলার চরে। আর এ মৌসুমেও দুবলার চরের যাচ্ছে প্রায় দেড় হাজার মাছ ধরার ট্রলার। ট্রলার নিয়ে গভীর সাগর থেকে আহরিত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বাছাই করে শুটকি করবেন তারা।
এসময় তিনি আরও বলেন, গত শুটকির মৌসুমে দুবলার চর থেকে বনবিভাগের রাজস্ব আদায় হয়েছিল তিন কোটি ২২ লাখ টাকা। এবারও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সমপরিমাণ কিংবা তার চেয়েও বেশি রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।
সানবিডি/এনজে