‘কি খাচ্ছি আমরা’ শীর্ষক খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক ওয়েবিনার
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-১০-২৬ ২২:১৮:১৬
ফুড সেফটি এন্ড হাইজিন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নির্ভর নিউজ চ্যানেল সিএনআইতে অনুষ্ঠিত হয়েছে খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠান সিএনআই সমসাময়িক আলাপন।
রোববার (২৪ অক্টোবর) ‘কি খাচ্ছি আমরা’ শীর্ষক এই ওয়েবিনারের আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের ন্যাশনাল হোটেল ও ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এন এইচ টি টি আই এর ফুড ও বেভারেজ প্রোডাকশন বিভাগীয় প্রধান জাহিদ বেগম, ইভেন্ট প্লানার ও সোশ্যাল এক্টিভিস্ট (ফুড হাইজিন ও সেফটি) এম. সাফাক হোসেন এবং সুমিস হট কেক এর পরিচালক আনজারা শেখ| অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনায় ছিল সাংবাদিক সুমাইয়া জামান।
উক্ত অনুষ্ঠানের মূল আলোচনায় বর্তমান সময়ের খাদ্যাভাস, ফাস্ট ফুড, তৈলাক্ত খাবারের জনপ্রিয়তা এবং এসব খাবারের উপকরণ স্বাস্থ্যের জন্য কি ধরণের ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে, প্রতিকারের উপায় ও সঠিক নিয়মে রান্নার কলাকৌশল কেমন হবে এসকল বিষয় উঠে আসে।
আলোচনায় জাহেদা বেগম বলেন, “খাদ্য পুষ্টি মানব দেহের সু স্বাস্থ্যের মূল উপকরণ। এই উপকরণ যদি সঠিক ভাবে কুকিং, ফুড সেফটি ও ফুড হাইজিন পরিচর্যা না হয় তাহলে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়বে। বর্তমান সময়ে ফাস্ট ফুড এর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ইয়ং জেনারেশন এসব খাদ্যে ঝুঁকছে বেশি, অতিরিক্ত তেলে ভাজা-পুরা খাওয়ার ফলে পূর্বের চেয়ে বর্তমানে নানা রোগবেধি হচ্ছে যার মধ্যে হার্ট এর রোগ, ডায়াবেটিকস, ক্যান্সার, আলসার এই ধরণের জটিল রোগের সংখ্যা বেশি দেখা যাচ্ছে চল্লিশের মধ্যে বয়সীদের। প্রতিকার পেতে এ সকল খাদ্যাভাস, ভেজাল মিস্ত্রিত খাদ্য বর্জন করতে হবে। সঠিক নিয়মে পুষ্টিকর খাবার রান্না করে খেতে হবে।”
এম۔সাফাক হোসেন বলেন, “খাদ্যে ভেজাল, প্রিজারভেটিভ কেমিকাল ইত্যাদি মিশ্রনের ফলে খাদ্যের সঠিক মান, খাদ্য পুষ্টি নষ্ট হচ্ছে, যে কারণে বর্তমান যুগে প্রায় বেশিরভাগ মানুষের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সহ নানা রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির পথের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই বিষয়ে এখন থেকেই সকলকে সচেতন হতে হবে, ভেজাল খাদ্য বর্জন করতে হবে, সরকারি পক্ষ থেকে একটি রেপিড অ্যাকশন টীমকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে এসব ভেজাল খাদ্য উৎপাদনকারী, মেয়াদউত্তীর্ণ পণ্য বিক্রেতাদের প্রকাশ্যে শাস্তির বিধান করে বাস্তবায়ন করতে হবে। এখন থেকে এই পন্থা চালু না করলে আগামী কিছু বছরের মধ্যে স্বাস্থঝুঁকি আরো বৃদ্ধি পাবার আশঙ্কা রয়েছে যা আজকের তরুণ ও যুবসমাজের জন্য একটা ডিসাস্টার বয়ে আনবে।”
শেখ আনজারা যুক্ত করেন, ‘ফুড বিসনেস এ জড়িত যারা তাদেরকে র-মেটেরিয়াল, খাদ্য উপকরণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে, কোয়ালিটি কন্ট্রোল মনিটরিং সবসময় করতে হবে এবং স্টোরিং সিস্টেম ঠিকমতো মেনে চলতে হবে। খাদ্য পার্সেল এর ক্ষেত্রে হ্যান্ডলিং এ সতর্ক থাকা, ফুড গ্রেড প্যাকেজিং ব্যবহার করা যাতে কন্টামিনেটেড হয়ে খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ঝুকিপুর্ণ না হয়।”
আলোচনার শেষে দর্শকদের প্রশ্নোত্তর পর্বে আলোচকরা উত্তরদেন এবং সবশেষে তাদের কিছু ব্যাক্তিগত মতামতশেষে উক্ত অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।
এএ