গাইবান্ধায় অচেনা প্রাণীটি সনাক্ত করতে পারেননি বন কর্মকর্তারা

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-১০-৩১ ১৯:৩৭:০৮


গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার হরিনাথপুর ও তালুক কেঁওয়াবাড়িসহ কয়েকটি গ্রামের ‍বাসিন্দাদের‘অচেনা’ প্রাণীর আতঙ্কে দিন কাটছে। ইতোমধ্যে প্রাণীটির আক্রমণে একজন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। এ ঘটনায় হরিনাথপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম পরিদর্শন করেছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা।

আজ রবিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহী থেকে আসা বন বিভাগের একটি টিম হরিনাথপুরের কেঁওয়াবাড়ি গ্রামে এসে পৌঁছায়। পরে তারা হরিণাবাড়ি, তালক জামিয়া, কুমিতপুর ও দেওয়ানের বাজারসহ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখেন। তবে ‘অচেনা’ প্রাণীটি শনাক্ত করতে পারেননি তারা।

রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর কবীবের নেতৃত্বে চার সদস্যের পরিদর্শন টিমে ছিলেন ওয়াইল্ড লাইফ রেঞ্জার মো. হেলিম রায়হান, অফিস সহকারী সোহেল রানা ও লালন উদ্দিন।

অচেনা প্রাণীর হামলায় নিহত ও আহতদের বাড়ি গিয়ে তাদের পরিবারের খোঁজ-খবর নেন তারা। এলাকাবাসীর সঙ্গেও কথা বলেন। প্রাণীটির আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে গ্রামবাসীকে আগুন জ্বালানো এবং উচ্চ শব্দ করার পাশাপাশি বিভিন্ন সচেতনতামূলক পরামর্শও দেন।

স্থানীয়রা জানায়, গত এক মাস ধরে অচেনা এই প্রাণীর আক্রমণে হরিনাথপুর, তালুকজামিরা, কেঁওয়াবাড়ি, দেওয়ানের বাজার ও কুমতিপুরের শিশুসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আমরুল ইসলাম (৩২), হামিদ মিয়া (৪০), সুমি বেগম (৪০) ও মনজিলা বেগমের (৩৮) অবস্থা গুরুতর।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাড়ির পাশে ঘাস কাটতে গিয়ে ওই প্রাণীর প্রথম হামলার শিকার হন স্থানীয় এক মসজিদের ইমাম ফেরদৌস সরকার রুকু (৫৫)। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। হামলার ১৮ দিন পর নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়।

অচেনা প্রাণীটির আক্রমণের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে এলাকাজুড়ে। দিনেও মানুষ চলাচল করতে ভয় পাচ্ছেন। প্রাণীটির আক্রমণ থেকে বাঁচতে লাঠি হাতে চলাফেরা করছেন গ্রামের বাসিন্দারা। সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন অনেক অভিভাবক।

সানবিডি/এনজে