ক্রেডিট গ্যারান্টি ৪০ শতাংশ করার দাবি বিজিএমইএ’র
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২১-১১-০১ ১৭:৫৪:১৯
কোভিড-১৯ এর মধ্যে দেশে এবং বিদেশে কাপড়ের দাম বাড়ার কারণে আন্তর্জাতিক ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি সিস্টেমের মাধ্যমে কাঁচামাল আমদানি করার ক্ষেত্রে ব্যাংক ক্রেডিট সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন পোশাক রপ্তানিকারকরা। তারা বিদ্যমান ব্যাংক ক্রেডিট গ্যারান্টি ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছেন।
সম্প্রতি তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদারের কাছে একটি চিঠির দিয়েছেন। চিঠিতে কোভিড-১৯ মহামারির ধাক্কা সামলানোর জন্য তৈরি পোশাক শিল্পের স্বার্থে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
অর্থ সচিবকে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এর কারণে ২০২১ সালের শুরু থেকে বিশ্বজুড়ে তুলার দাম বাড়ছে। করোনা মহামারি চলাকালীন নীট তুলার দাম ৫৩ শতাংশ, বোনা কাপড়ের ২৫ শতাংশ এবং আবগারি শুল্ক ১৫ শতাংশ বেড়েছে।
এ অবস্থায় পোশাক রপ্তানিকারকরা তাদের ক্রেডিট সীমা কম থাকার কারণে উচ্চ পরিমাণে ব্যাক-টু-ব্যাক লেটার অফ ক্রেডিট (এলসি) খুলতে সমস্যায় পড়ছেন। ব্যাংকগুলো এখন তাদের এলসির সীমা বাড়ানোর জন্য রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত জামানত দাবি করছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বিদ্যমান অবস্থায় ব্যাংকগুলোর ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি খোলার জন্য রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত জামানত চাওয়ায় ব্যবসায়ীরা চাপের মুখে পড়েছে। এরফলে দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্যাঙ্কগুলোকে লেটার অফ ক্রেডিট (এলসি) খোলার সময় ৩০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ক্রেডিট সীমা বাড়াতে হবে।
গত ২১ সেপ্টেম্বর বিজিএমইএ নেতারা তৈরি পোশাক শিল্পের বিকাশের স্বার্থে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকার প্রদত্ত উদ্দীপনা প্যাকেজের অধীনে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বিদ্যমান ১৮ মাস থেকে বাড়িয়ে ৩৬ মাস করার অনুরোধ জানিয়েছে।
তারা ১৩৩টি সিক তৈরি পোশাক কারখানার জন্য সমস্ত ঋণ, সুদ এবং তহবিলের খরচগুলোকে বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে সরকারকে তা বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছে।
সরকার তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের তাদের কর্মী-কর্মকর্তাদের বেতন ও মজুরি পরিশোধের জন্য সহজ শর্তে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছে।
সরকার প্রদত্ত এই সহায়তা শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করে তৈরি পোশাক শিল্পকে ব্যবসায় টিকে থাকতে সাহায্য করেছিল। এই প্রণোদনা এ শিল্পের প্রায় ৪০ লাখের বেশি অসহায় মানুষের জীবন রক্ষায় সহায়তা করেছে।
এএ