বন্ডে বিনিয়োগকে বিনিয়োগ সীমার বাহিরে রাখতে আলোচনা
নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২১-১২-০১ ২০:৪০:৪২
বিনিয়োগ সীমায় ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানির বন্ডের বিনিয়োগকে অন্তর্ভূক্ত না করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ । একইসঙ্গে বাজার দরের পরিবর্তে কস্ট প্রাইসকে (ক্রয় মূল্য) বিবেচনায় নিয়ে বিনিয়োগ সীমা গণনা করার ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর মধ্যকার বৈঠকে এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
এদিন বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজি এ কে এম সাজিদুর রহমান খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, বৈঠকে আমার মনে হয়েছে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংক খুবই আন্তরিক। যে কারনে তারা বন্ডে বিনিয়োগকে বিনিয়োগ সীমার বাহিরে রাখার অঙ্গীকার করেছেন। এছাড়া বিনিয়োগ সীমা গণনায় বাজার দরের পরিবর্তে কস্ট প্রাইসকে বিবেচনায় নেওয়ার যে দীর্ঘদিনের চাহিদা রয়েছে, সেটাও তারা সমাধান করবে। এজন্য যা করণীয় তারা তাই করবেন।
এছাড়াও বিএসইসি কমিশনার বলেন, পুঁজিবাজারের অদাবিকৃত ডিভিডেন্ড নিয়ে গঠিত স্ট্যাবলাইজেশন ফান্ডের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক একমত রয়েছে, তবে বিষয়টি নিয়ে কিছু দাপ্তরিক সমস্যা রয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, স্ট্যাবলাইজেশন ফান্ডের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে কিছু আইনগত অস্পষ্টতা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে বিষয়টি নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা উভয়পক্ষ খুবই এ বিষয়ে আন্তরিক।
এক্সপ্রোজার বন্ডের বিষয়ে বিএসইসি’র কমিশনার বলেন, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এক্সপ্রোজার কম খরচে উপস্থাপন করা হবে। প্রয়োজনে বিকল্প আরও ভালো কোন মাধ্যম থাকলে সেটাও প্রয়োগ করা হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে যে বিরোধের কথা বলা হচ্ছে, আসলে আমাদের উভয় রেগুলেটরী বডির খুবই ভালো সম্পর্ক। আমাদের কারো সাথে কারো কোন মত বিরোধ নেই। এই মিটিংয়ের ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে আমাদের আরও ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। আমরা এখন থেকে সবসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে মোবাইল ও মেইলে যোগাযোগ রাখব।
তিনি বলেন, সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বাজার নিয়ে হতাশ হবেন না। বাজার ভালো করার জন্য আমাদের যা যা করা প্রয়োজন তাই করা হবে। আমরা উভয় রেগুলেটরি বডি একসাথে বাজারের জন্য কাজ করে যাবো।
বিএসইসির পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান ও মাহবুব আলম। বাংলাদেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এ কে এম সাজেদুর রহমানসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের ও পুঁজিবাজারের দ্বায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পুঁজিবাজারের সব খবর পেতে জয়েন করুন
Sunbd News–ক্যাপিটাল নিউজ–ক্যাপিটাল ভিউজ–স্টক নিউজ–শেয়ারবাজারের খবরা-খবর
এএ