বছরে ৩০০ কোটি টাকার ভেজাল ওষুধ তৈরি হয় দেশে
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-১২-০৪ ১৮:১৫:০৬
যারা নকল,ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ চক্রের সাথে জড়িত তাদের শাস্তির দাবিতে রাজধানীতে মানববন্ধন কয়েকটি সংগঠন। এই মানববন্ধনে তারা জানান, দেশে বছরে ৩০০ কোটি টাকার ভেজাল ওষুধ তৈরি হয়।
আজ শনিবার (৪ ডিসেম্বর) পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনসহ (পবা) সমমনা ১০টি সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘নকল, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ চক্রের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই’ দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে ও সম্পাদক এম এ ওয়াহেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান, মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের মহাপরিচালক মাহবুল হক, সামাজিক শক্তির সভাপতি মো. হাবিব উল্লাহ, বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট সাইক্লিস্টের প্রধান সমন্বয়ক রোজিনা আক্তার, পুরান ঢাকা নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি নাজিমউদ্দীন প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, দেশে বর্তমানে প্রায় ৩০০টি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে মাত্র ৩ শতাংশ ওষুধ আমদানি করতে হয় আর ৯৭ শতাংশ অভ্যন্তরীণ উৎপাদন থেকেই দেশের চাহিদা মেটানো হচ্ছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে ১৫৭টি দেশে বাংলাদেশ ওষুধ রপ্তানি করে। কিন্তু কিছু লাইসেন্সধারী ও লাইসেন্সবিহীন কোম্পানি অধিক মুনাফার জন্য ভেজাল ওষুধ তৈরি ও বাজারজাত করছে, যা মানুষের যেমন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে তার চেয়ে বেশি শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বিবিসি নিউজে প্রকাশিত তথ্য মতে, বাংলাদেশে বছরে উৎপাদন হয় ২৫ হাজার ধরনের ওষুধ, এর মধ্যে মাত্র চার হাজার ওষুধ পরীক্ষা করে দেখার সামর্থ্য আছে সরকারের। এর দু-তিন শতাংশ ওষুধ ভেজাল, নকল বা নিম্নমানের। বাকি ২১ হাজার ওষুধ কখনো পরীক্ষাই করা হয় না।
বক্তারা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ওষুধ-শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে মোট উৎপাদিত ওষুধের অন্তত দুই শতাংশ অর্থাৎ প্রতি বছর ৩০০ কোটি টাকার বেশি পরিমাণ অর্থের ভেজাল, নকল ও নিম্নমানের ওষুধ তৈরি হয়। নামে-বেনামে বিভিন্ন কোম্পানি ভেজাল ওষুধ বাজারজাত করে। অনেক সময় এসব ওষুধে উৎপাদন ও মেয়াদের শেষ তারিখ থাকে না।’ ঔষধ আইন ১৯৪০ ও জাতীয় ঔষধ নীতি ২০১৬ যথাযথ বাস্তবায়নের দাবি জানান বক্তারা।
সানবিডি/এনজে