ভোমরায় ৪০ শতাংশ কমেছে শুকনো মরিচ আমদানি

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২১-১২-০৭ ১৫:০৩:০৭


সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে গত অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময় ৪০ শতাংশ কমেছে শুকনো মরিচ আমদানি। ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা বলছেন, দেশীয় বাজারে চাহিদা কম থাকায় মসলাপণ্যটি আমদানিতে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে এক মাসের ব্যবধানে পাইকারিতে শুকনো মরিচের দাম কমেছে কেজিপ্রতি ২০-২৫ টাকা। তবে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েনি।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর পর্যন্ত বন্দর দিয়ে শুকনো মরিচ আমদানি হয়েছে ১৩ হাজার ৩৭৭ টন, যার মূল্য ১৮৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ১৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময় শুকনো মরিচ আমদানি হয়েছিল ২১ হাজার ৫১৪ টন, যার মূল্য ৩১১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আয় হয় ৩১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এ হিসাব অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে শুকনো মরিচ আমদানি কমেছে ৮ হাজার ১৩৭ টন।

সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড়বাজারের সাত মসলা আড়ত মেসার্স জুবায়ের এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. জহুরুল হক জানান, সম্প্রতি শুকনো মরিচের দাম কমেছে। গতকাল তার প্রতিষ্ঠানে শুকনো মরিচ পাইকারি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২২০-২২৫ টাকা দরে। এক মাস আগেও বিক্রি হয়েছিল ২৫৫-২৬০ টাকায়। চাহিদা কমায় আমদানীকৃত শুকনো মরিচের দাম কমেছে।

এদিকে পাইকারিতে দাম কমলেও তার প্রভাব খুচরা বাজারে দেখা যাচ্ছে না। সোমবার বড়বাজারের বিভিন্ন খুচরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে শুকনো মরিচ বিক্রি হয়েছে ২৮০-২৯০ টাকা কেজি দরে।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বরত কাস্টমসের বিভাগীয় সহকারী কমিশনার আমীর মামুন জানান, শুকনো মরিচ আমদানির মাধ্যমে সরকার ভালো পরিমাণ রাজস্ব আয় করে। তবে গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছর শুকনো মরিচ আমদানি কমেছে।

সানবিডি/এনজে