অপরাধীর তথ্যভাণ্ডার র্যাব প্রিজন ইনমেট’ উদ্বোধন
প্রকাশ: ২০১৬-০২-০৭ ১৭:৫২:৫৫
কারাগারে যাওয়া অপরাধীদের তথ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা ‘র্যাব-প্রিজন ইনমেট ডাটাবেজ’ উদ্বোধন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এতে কোনো অপরাধীর ২০০ ধরনের তথ্য, ১০ আঙুলের বায়োমেট্রিক ছাপ এবং দুই চোখের বায়োমেট্রিক ইমেজ সংরক্ষিত থাকবে।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় র্যাবের সদর দপ্তরে এই ডাটাবেজ উদ্বোধন করা হয়।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল জিয়াউল আহসানের তত্ত্বাবধানে ‘র্যাব ক্রিমিনাল ডাটাবেজ’-এর অনুকরণে এটি তৈরি করা হয়েছে।
জানা যায়, দেশের ৬৮টি কারাগারে র্যাব-প্রিজন ইনমেট ডাটাবেজের ওয়ার্কস্টেশন থাকবে।
প্রতিদিন প্রতিটি কারাগারে অপরাধীর আসা, জামিনে মুক্তি, কারাগার বদল, কারাগার থেকে কোর্ট ভিজিট এবং সিভিল হাসপাতালে নেয়া্-সবকিছু ডাটাবেজে সংগৃহীত হবে।
কোনো অপরাধী কারাগারে এনরোলমেন্টের সময় ফিঙ্গার প্রিন্ট ম্যাচিংয়ের মাধ্যমে অন্যান্য কারাগারে অথবা একই কারাগারে কতবার তিনি আটক হয়েছে তার বিস্তারিত জানা যাবে। অপরাধের ধরন অনুযায়ী এ ডাটাবেজ থেকে সার্চ করে প্রতি কারাগারে অপরাধীর সংখ্যা সহজে নিরূপণ করা যাবে। অপরাধীর কারাগার বদল, জামিন, হাসপাতালে নেয়া, বিশেষ কোনো তথ্য কারাগার থেকে মোবাইল ফোনে মেসেজ আকারে তাৎক্ষণিকভাবে কর্তৃপক্ষকে জানানো যাবে। এমনকি অপরাধীর কারাগার বদল বা বিশেষ গমনাগমন কর্তৃপক্ষ চাইলে ডাটাবেজ থেকে মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে অপরাধীর নিকটাত্মীয়কে জানানো যাবে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের উপপরিচালক মেজর রুম্মান মাহমুদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, কোনো অপরাধীকে গ্রেপ্তারের পর তার পরিচয় শনাক্ত ও অতীত অপরাধ রেকর্ড (পিসিআর) জানতেই অনেক সময় চলে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধীরা নিজেদের আড়াল করতে মিথ্যা তথ্যও দিয়ে থাকে। মামলার তদন্তের ক্ষেত্রে বিলম্বে এটি অন্যতম একটি বড় কারণ। আবার দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীরা কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে ফের অপরাধ করে। বেশির ভাগ সময় তারা স্থান পরিবর্তন করায় তাদের চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু সম্পূর্ণ ডিজিটাল ফরম্যাটে প্রস্তুত এ তথ্যভাণ্ডার থেকে কম্পিউটারের মাধ্যমে মুহূর্তে একজন অপরাধীর বিস্তারিত তথ্য জানা সম্ভব।