১০ মাসেই দেশীয় চা উৎপাদনের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণ

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-১২-১৯ ১৫:০৯:৫৯


মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে চা শিল্পের সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে ঝুঁকি নিয়ে উৎপাদন অব্যাহত রাখা হয়েছিল বাগানগুলোয়। সে সুফল মিলেছে উৎপাদনে। বছরের দুই মাস হাতে রেখেই এবার বার্ষিক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। বাগান সম্প্রসারণ, নতুন করে বিনিয়োগ এবং বাগান উন্নয়নে বাগান মালিকদের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে চা উৎপাদন বাড়ছে বলে জানান খাতসংশ্লিষ্টরা। তবে বাজারে চায়ের দাম নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন অনেকে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ চা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর দেশের বাগানগুলো থেকে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৭ কোটি ৭৭ লাখ ৮০ হাজার কেজি। অক্টোবর পর্যন্ত উৎপাদন হয় ৭ কোটি ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার কেজি। গত বছর একই সময়ে উৎপাদন হয়েছিল ৬ কোটি ৮৯ লাখ ৩৮ হাজার কেজি। অনুকূল আবহাওয়া ও বাগান পরিচর্যাসহ কার্যকর ব্যবস্থাপনার কারণে দুই মাস (নভেম্বর, ডিসেম্বর) হাতে রেখেই উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে বাগানগুলো।

গত বছর দেশে চা উৎপাদন হয়েছিল ৮ কোটি ৬৩ লাখ ৯৪ হাজার কেজি। এবার গত বছরের উৎপাদন ছাড়িয়ে যাবে কিনা তা জানা যাবে নভেম্বর ও ডিসেম্বরের প্রতিবেদন প্রকাশের পর।

এর আগে ২০১৯ সালে দেশের ১৬৭টি বাগানে ৯ কোটি ৬০ লাখ ৬৯ হাজার কেজি চা উৎপাদন হয়, যা দেশের ইতিহাসে ছিল সর্বোচ্চ উৎপাদন। উৎপাদনের এ ধারা অব্যাহত থাকলে কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ বছরে ১০ কোটি কেজি চা উৎপাদনের তালিকায় স্থান করে নেবে বলে আশা করছে চা বোর্ড।

চা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালিনীছড়া চা বাগানের মাধ্যমে প্রথম বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চা চাষ শুরু হয়। বর্তমানে চা বোর্ডের নিবন্ধিত ১৬৭টি চা বাগান রয়েছে। এর মধ্যে মৌলভীবাজারে ৯১টি, হবিগঞ্জে ২৫টি, সিলেটে ১৯টি, চট্টগ্রামে ২২টি, পঞ্চগড়ে ৭টি, রাঙ্গামাটিতে ২টি ও ঠাকুরগাঁওয়ে একটি চা বাগান রয়েছে। এসব বাগানে মোট জমির পরিমাণ ২ লাখ ৭৯ হাজার ৪৩৯ একর।

সানবিডি/এনজে