১০ শতাংশ কমেছে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল রফতানি

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-১২-২২ ১৫:০৮:১৬


চলতি বছরের ১১ মাসে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল রফতানিতে নিম্নমুখী প্রবণতা তৈরি হয়েছে। চীন, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলো রফতানি হ্রাসে প্রধান প্রভাবকের ভূমিকা রেখেছে। একই সঙ্গে কমেছে উৎপাদনও। মালয়েশিয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স করপোরেশনের (এমআইডিএফ) গবেষণা বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে।

তথ্যানুযায়ী, জানুয়ারি-নভেম্বর পর্যন্ত মালয়েশিয়া ১ কোটি ৪১ লাখ টন পাম অয়েল রফতানি করে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি কমেছে ১০ শতাংশ।

এ বিষয়ে এমআইডিএফ রিসার্চ এক নোটে জানায়, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোয় সম্প্রতি মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের চাহিদা বেড়েছে। ফলে ১১ মাসে কমলেও নভেম্বরে পণ্যটির রফতানি বাড়িয়েছে দেশটি। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, আগামীতে মালয়েশিয়ান পাম অয়েল রফতানি আরো বাড়তে পারে। কারণ পণ্যটির শীর্ষ উৎপাদক ইন্দোনেশিয়া অপরিশোধিত পাম অয়েল রফতানিতে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে। উদ্দেশ্য রফতানি কমিয়ে আনা। এ সুযোগে মালয়েশিয়া পণ্যটির রফতানি বাড়াতে সক্ষম হচ্ছে।

এদিকে চলতি বছরের ১১ মাসে মালয়েশিয়ায় পাম অয়েল উৎপাদন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ৬ শতাংশ। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬৭ লাখ টনে। নভেম্বরেও মালয়েশিয়ায় পাম অয়েল উৎপাদন কমেছে বলে জানিয়েছে এমআইডিএফ রিসার্চ। অতিরিক্ত ঠাণ্ডা আবহাওয়া এবং অতিবৃষ্টি উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এক মাসের ব্যবধানে পাম অয়েল উৎপাদন কমেছে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। নভেম্বরে উৎপাদন হয় ১৬ লাখ ৩০ হাজার টন। অক্টোবরে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ৩০ হাজার টন।

সানবিডি/এনজে