কাবুল বিমানবন্দর যৌথ পরিচালনায় তুরস্ক ও কাতারের চুক্তি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-১২-২৪ ১৮:২৩:৩৬
আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দর যৌথভাবে পরিচালনায় সমঝোতা চুক্তি করেছে তুরস্ক ও কাতার। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির কাছে বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানায় এক কূটনীতিক সূত্র।
সূত্র অনুসারে, গত ৭ ডিসেম্বর তুরস্ক-কাতারের মধ্যকার কৌশলগত কমিটির সপ্তম সম্মেলন উপলক্ষে কাতারের রাজধানী দোহায় তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মওলুদ চাভুশওলুর সফরকালে এই সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।
চুক্তি অনুসারে, তুর্কি ও কাতারি কর্মকর্তাদের যৌথ এক কমিটি কাবুল বিমানবন্দর পরিচালনার বিষয়ে আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে চুক্তির জন্য দেশটিতে সফর করবে। বিমানবন্দর পরিচালনায় তুরস্ক ও কাতার উভয়েরই সমান অংশীদ্বারিত্ব থাকবে।
এদিকে গত সোমবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মওলুদ চাভুশওলু এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, দোহা ও কাবুলের সাথে আলোচনার পর কাতারের সাথে মিলে তুরস্ক আফগানিস্তানের পাঁচটি বিমানবন্দর পরিচালনা করতে পারে।
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে তালেবান নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তানের বিমানবন্দর তুরস্ক ও কাতারের যৌথ পরিচালনার সম্ভাবনার বিষয়ে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জানান দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
৬ ডিসেম্বর দোহায় মওলুদ চাভুশওলু ও কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল-সানির এই যৌথ সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, কাবুলে তুরস্ক ও কাতার একসাথে কাজ করবে।
চলতি বছরের আগস্টে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নেতৃত্বের বহুজাতিক বাহিনীর প্রত্যাহারের মধ্যেই দেশটির প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান।
২০২০ সালে কাতারের দোহায় যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তালেবানের চুক্তি অনুসারে দেশটি থেকে বহুজাতিক বাহিনী প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। চুক্তি অনুসারে আফগান সরকারের সাথে তালেবানের আলোচনার মাধ্যমে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা থাকলেও উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনায় ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় তালেবান আফগান সরকারের কাছ থেকে দেশের নিয়ন্ত্রণ নিতে থাকে।
মধ্য আগস্টেই কাবুল পৌঁছে যায় তালেবান যোদ্ধারা। তালেবান যোদ্ধারা অগ্রসর হতে থাকায় ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান ছেড়ে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। গনির কাবুল ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার জেরে আফগান প্রশাসন ভেঙে পড়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই দিনই কাবুলে প্রবেশ করে তালেবান যোদ্ধারা।
আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে চলে যাওয়ার পর থেকেই দেশটির বিমানবন্দরগুলো প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তুরস্ক ও কাতার দেশটির সাথে আন্তর্জাতিক সংযোগ খোলা রাখতে আফগানিস্তানের বিমানবন্দরগুলো চালু রাখার জন্য সহায়তা দেয়ার প্রস্তাব করে আসছে।
সূত্র : টিআরটি ওয়ার্ল্ড ও ডেইলি সাবাহ
এএ