জিডিটি নিলামে কমেছে দুগ্ধপণ্যের দাম
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-১২-২৫ ১৪:১২:২৯
টানা আটবার বাড়তির দিকে থাকার পর অবশেষে গ্লোবাল ডেইরি ট্রেডের (জিডিটি) নিলামে কমেছে দুগ্ধপণ্যের গড় দাম। নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ জিডিটি নিলামে দুগ্ধপণ্যের মূল্যসূচক ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। দরপতনে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে ননিযুক্ত গুঁড়ো দুধ (ডব্লিউএমপি)।
দুগ্ধপণ্যের মূল্যসূচক কমে প্রতি টন পণ্যের গড় দাম দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২৩৬ ডলারে। এবারের নিলামে ১৫৮টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ী অংশ নেয়। এতে জয়ী হয়েছে ১১৭ জন। নিলামে সর্বোচ্চ ৩৩ হাজার ৮৭ টন দুগ্ধপণ্য সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে বিক্রি হয়েছে ৩০ হাজার ৩৭৫ টন।
সবগুলো দুগ্ধপণ্যের মধ্যে খামারিরা সরাসরি ডব্লিউএমপি থেকে মুনাফা অর্জন করেন। আন্তর্জাতিক বাজারেও পণ্যটির প্রভাব সবচেয়ে বেশি। সর্বশেষ নিলামে পণ্যটির দাম ৩ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে। প্রতি টন বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৮৬৭ ডলারে। এর আগের নিলামগুলোয় পণ্যটির দাম ৪ হাজার ডলারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
দুগ্ধপণ্যের গড় মূল্য কমলেও ননিবিহীন গুঁড়ো দুধসহ মাখন, চেডার ও ল্যাকটোসের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। ডব্লিউএমপির পরই প্রভাবশালী পণ্য ননিবিহীন গুঁড়ো দুধ (এসএমপি)। জিডিটি মূল্যসূচক অনুযায়ী, সর্বশেষ নিলামে পণ্যটির দাম বেড়েছে দশমিক ৬ শতাংশ। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ৩ হাজার ৭৪৫ ডলারে। এছাড়া মাখনের দাম ১ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ৮৫১ ডলারে উন্নীত হয়েছে। নিলামে মাখনযুক্ত গুঁড়ো দুধ প্রস্তাব করা হয়নি। এদিকে চেডার পনিরের দাম দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ৫ হাজার ২৪১ ডলারে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ল্যাকটোসের দাম। পণ্যটি ১ হাজার ৩৯০ ডলারে বিক্রি হয়েছে, যা আগের নিলামের তুলনায় ৩ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। অ্যানহাইড্রাস মিল্ক ফ্যাটের দাম দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে টনপ্রতি ৬ হাজার ৭২৪ ডলারে পৌঁছেছে।
এনজেডএক্স ডেইরি অ্যানালিস্ট এলেক্স উইনিং বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর দুগ্ধপণ্যের দাম এক পর্যায়ে কমে আসাটা স্বাভাবিক এবং সেটাই ঘটেছে।
সানবিডি/এনজে