৯ মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২১-১২-২৭ ১৬:১৬:৪৭


মহামারি করোনার প্রকোপের কারণে ঋণ পরিশোধে ছাড় অব্যাহত ছিল সালেও। তার পরও খেলাপি ঋণের লাগাম টানা যায়নি। পুরো বছরের চিত্র পাওয়া না গেলেও ৯ মাসের হিসাবে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা। গত সেপ্টেম্বরের শেষে খেলাপি ঋণ ফের এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। খেলাপি ঋণের এই ঊর্ধ্বগতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও (আইএমএফ)। খেলাপি ঋণের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের হিসাবায়ন নিয়েও প্রশ্ন তোলে সংস্থাটি। বছরজুড়েই বেসরকারি খাতে ঋণে ছিল ধীরগতি।

এ ছাড়া প্রবাস আয়ের পতন, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, নয়-ছয় সুদ নিয়ে ছিল অস্বস্তি। এ ছাড়া কয়েক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম, নানা অজুহাতে কর্মী ছাঁটাই, ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসসহ নানা চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী হয় ২০২১ সাল।

করোনার কারণে ২০২০ সালজুড়েই ঋণ পরিশোধে বিশেষ সুবিধা পান ব্যবসায়ীরা। ফলে ওই সময়ে ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করেও কেউ খেলাপি হননি। ২০২১ সালে এই বিশেষ সুবিধা বহাল রাখা না হলেও ঋণ পরিশোধে ছাড় অব্যাহত রাখে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিদ্যমান সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কিস্তির ২৫ শতাংশ অর্থ পরিশোধ করা হলে ওই ঋণ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত খেলাপি করা যাবে না। এর পরও ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট ঋণ স্থিতি ছিল ১২ লাখ ৪৫ হাজার ৩৯১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয় এক লাখ এক হাজার ১৫০ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৮.১২ শতাংশ। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ ছিল ৮৮ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা বা ৭.৬৬ শতাংশ। এর মানে চলতি বছরের ৯ মাসের হিসাবে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ১২ হাজার ৪১৬ কোটি টাকা।

সানবিডি/এনজে