হাসান আল-বান্নার দৃষ্টিতে নতুন বছর ও আগামীর সংকল্প

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২২-০১-০১ ১৬:৫৫:২৭


নতুন বছরের চৌকাঠে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটিকে বললাম, সামনের অদেখা-অস্পষ্ট দিনগুলোকে আলোকিত করার জন্য আমার বাতির প্রয়োজন। সে উত্তর দিল, তোমরা হাতটি আল্লাহর কুদরতি হাতে সঁপে দাও। তিনিই তোমাকে পরম গন্তব্যে পৌঁছে দেবেন। এটি ছিল শহীদ হাসান আল-বান্না (রাহ.)-এর দৃষ্টিতে নতুন বছর ও আগামীর সংকল্প।

সময়ের কাফেলার সঙ্গে চলমান অবুঝ মুসাফির জীবনপথের বৈচিত্র্যময় বাঁকে দাঁড়িয়ে কখনো বারবার পেছন ফিরে তাকায়- অতীত সফরের কষ্ট-গ্লানির স্মৃতি হৃদয় মাঝে তাজা করার জন্য। এরপর সম্মুখপানেও একনজর দেখতে চেষ্টা করে- আরও কত পথ পাড়ি দিতে হবে, সে হিসাব অনুমান করার জন্য। (যা কোরআনের ঘোষণায় ধাপে ধাপে ফুটে ওঠেছে এভাবে)-

১. জীবন-মরু উপত্যকায় অস্থির-অশান্ত হে গন্তব্যহীন বন্ধু! কতকাল এ অন্ধকার ও বিভ্রান্তির শিকারে বন্দি থাকবে তুমি? অথচ তোমার হাতেই তো একটি আলোকপ্রদীপ রয়েছে! (আল্লাহ বলেন)-

قَدْ جَاءَكُمْ مِنَ اللَّهِ نُورٌ وَكِتَابٌ مُبِينٌ

‘আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে এক আলো এবং এমন এক কিতাব এসেছে, যা সত্যকে সুস্পষ্ট করে দেয়।’

يَهْدِي بِهِ اللَّهُ مَنِ اتَّبَعَ رِضْوَانَهُ سُبُلَ السَّلَامِ وَيُخْرِجُهُمْ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ بِإِذْنِهِ وَيَهْدِيهِمْ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ

‘যার মাধ্যমে আল্লাহ তার সন্তুষ্টি অনুসন্ধানকারীদের শান্তির পথ দেখান এবং তাদেরকে অন্ধকার থেকে বের করে আনেন আলোর দিকে। আর তাদের সবাইকে সরল পথের দিশা দেন।’ (সুরা মায়েদা : আয়াত ১৫-১৬)

২. হে বিপর্যস্ত পথের দিশেহারা ক্লান্তিজর্জর মানুষ! হে পথহারা লোকসকল! শোনো মহাজ্ঞানী সর্বজ্ঞ আল্লাহ তাআলা কী বলছেন-

قُلْ يَاعِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ . وَأَنِيبُوا إِلَى رَبِّكُمْ وَأَسْلِمُوا لَهُ مِنْ قَبْلِ أَنْ يَأْتِيَكُمُ الْعَذَابُ ثُمَّ لَا تُنْصَرُونَ

‘বলে দাও, হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজ সত্ত্বার উপর সীমালংঘন করেছে, আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সমস্ত পাপ ক্ষমা করেন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের অভিমুখী হয়ে যাও এবং তাঁর সমীপে আনুগত্য প্রকাশ করো তোমাদের কাছে শাস্তি আসার আগে, যার পর আর তোমাদেরকে সাহায্য করা হবে না।’ (সুরা যুমার : আয়াত ৫৩-৫৪)

৩. এসো! দয়াময়ের এ আহবানে লাব্বাইক বলে সাড়া দাও। তারপর হৃদয়ের প্রশান্তি অন্তরাত্মার স্বস্তি ও সজীবতা এবং আল্লাহ তাআলার উত্তম প্রতিদান দেখে নাও। কল্যাণের পথে থাকতে আল্লাহর আহ্বান-

وَالَّذِينَ إِذَا فَعَلُوا فَاحِشَةً أَوْ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ ذَكَرُوا اللَّهَ فَاسْتَغْفَرُوا لِذُنُوبِهِمْ وَمَنْ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا اللَّهُ وَلَمْ يُصِرُّوا عَلَى مَا فَعَلُوا وَهُمْ يَعْلَمُونَ أُولَئِكَ جَزَاؤُهُمْ مَغْفِرَةٌ مِنْ رَبِّهِمْ وَجَنَّاتٌ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَنِعْمَ أَجْرُ الْعَامِلِينَ

‘আর তারা সেই সব লোক, যারা কখনও কোনো অশ্লীল কাজ করে ফেললে বা (অন্য কোনোভাবে) নিজেদের প্রতি জুলুম করলে সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং তার ফলশ্রুতিতে নিজেদের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে; আর আল্লাহ ছাড়া আর কেইবা আছে, যে গুনাহ ক্ষমা করতে পারে? আর তারা জেনে শুনে তাদের কৃতকর্মে অবিচল থাকে না। এরাই সেই লোক, যাদের পুরষ্কার হচ্ছে, তাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে মাগফেরাত এবং সেই উদ্যানসমূহ (জান্নাত) যার তলদেশে নহর প্রবাহিত, যাতে তারা স্থায়ী জীবন লাভ করবে। তা কতই না উৎকৃষ্ট প্রতিদান, যা আমলকারীরা লাভ করবে।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৩৫-১৩৬)

৪. হে বিপদাক্রান্ত! রাশিরাশি পাপের ভারে ন্যুব্জে পড়া ভাইটি আমার! আমি তোমাকেই বলছি- আমার রবের দরজা সর্বদা উন্মুক্ত-অবারিত। গুনাহগার বান্দার কেঁদে কেঁদে ফিরে আসা তাঁর কাছে আপন ঘর তওয়াফকারীদের চেয়েও বেশি প্রিয়।

৫. নির্জন রাতের কোনো আহাজারি, দরবারে ইলাহিতে মুনাজাতের কোনো মুহূর্ত, অনুতাপ-অনুশোচনায় দগ্ধ কয়েক ফোঁটা অশ্রু, তাওবা ও ইস্তেগফারের কোনো একটি বাক্য- হতে পারে তার ওসিলায় তোমার গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। তোমরা মর্যাদা বাড়িয়ে দেওয়া হবে। আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের কাতারে তুমি শামিল হবে।

মনে রেখো! প্রতিটি মানুষ সীমাহীন অপরাধী। আর অপরাধীদের মধ্যে সর্বোত্তম সে, যে তওবা করে।

إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ

‘নিশ্চয়ই আল্লাহ বেশি বেশি তওবাকারীদের ভালোবাসেন এবং ভালোবাসেন তাদেরকে যারা বেশি বেশি পাক-পবিত্র থাকে।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ২২২)

৬. দেখো, আল্লাহ তোমার কত সন্নিকটে; অথচ আশ্চর্য! কোনো অনুভূতিই নেই তোমার! অন্তর্দৃষ্টি মেলে তাকাও, তোমাকে তিনি কত ভালোবাসেন। কিন্তু? তোমার মাঝে সেই ভালোবাসার কোনো কদরই নেই! তোমার প্রতি তাঁর দয়া-অনুগ্রহ কত অপরিসীম-অফুরন্ত। আর তুমি! গাফলতের ঘুম ছেড়ে জাগার নামটিও করছো না। শোনো! হাদিসে কুদসিতে তিনি কী বলছেন-

‘আমার বান্দা আমার সম্পর্কে যেমন ধারণা পোষণ করে আমি তার সঙ্গে সেরূপ আচরণই করি। আমি বান্দার ধারণা ও বিশ্বাসের সঙ্গী। যখনই সে আমাকে স্মরণ করে, আমি তার পাশে থাকি। সে যদি আমাকে মনে মনে স্মরণ করে, আমিও তাকে নিজ মনে স্মরণ করি। সে যদি কোনো মজলিসে আমার আলোচনা করে আমি তার চেয়ে উত্তম মজলিসে (ফেরেশতাদের) তার আলোচনা করি। বান্দা যদি আমার দিকে এক বিঘত অগ্রসর হয় আমি তার প্রতি এক হাত এগিয়ে আসি। যদি সে এক হাত এগিয়ে আসে, তো আমি দুই হাত অগ্রসর হই। বান্দা আমার দিকে পায়ে হেঁটে এলে আমি তার দিকে দৌড়ে দৌড়ে যাই।’

দেখো তিনি (আল্লাহ) কী বলছেন-

أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ سَخَّرَ لَكُمْ مَا فِي الْأَرْضِ وَالْفُلْكَ تَجْرِي فِي الْبَحْرِ بِأَمْرِهِ وَيُمْسِكُ السَّمَاءَ أَنْ تَقَعَ عَلَى الْأَرْضِ إِلَّا بِإِذْنِهِ إِنَّ اللَّهَ بِالنَّاسِ لَرَءُوفٌ رَحِيمٌ

‘তুমি কি দেখনি! আল্লাহ ভূমিস্থ সব কিছুকে তোমাদের সেবায় নিয়োজিত করে রেখেছেন এবং জলযানসমূহকেও, যা তার আদেশে সাগরে চলাচল করে? এবং তিনি আকাশকে এভাবে ধারণ করে রেখেছেন যে, তা তার অনুমতি ছাড়া পৃথিবীর উপর পতিত হবে না। বস্তুত আল্লাহ মানুষের প্রতি মমতাপূর্ণ আচরণকারী, পরম দয়ালু।’ (সুরা হজ : আয়াত ৬৫)

অতীতের পর্যালোচনা ও আগামীর সংকল্পকারী

আমার প্রিয় ভাই! যে ব্যক্তি সময়ের হক চিনেছে সে আসলে জীবনের মূল্য জেনেছে। কারণ সময়ের সমষ্টিই তো হলো জীবন। যিন্দেগীর চাকা যখন আমাদের জীবনের জীবনসফরের একেকটি বছরকে অতিক্রম করে, আর আমরা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি, তখন কার্যত সময়ের এক নতুন বাঁকে অমরা এসে দাঁড়াই। এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের মুহূর্তে আমাদের সবাইকে অতীতের দিনের হিসাব যেমন করতে হবে, তেমনি ভবিষ্যতের প্রতিও সতর্কদৃষ্টি রাখতে হবে। সেই আসল হিসাবের মুহূর্তটি হঠাৎ মাথায় এসে পড়ার আগে যে মুহূর্তের (মৃত্যুর) আগমন চিরনিশ্চিত-অবধারিত।

অতীতের হিসাব এই জন্য যাতে আমরা নিজেদের গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হই। নিজেদের ত্রুটি-বিচ্যুতির সংশোধন এবং ভুল পদক্ষেপগুলোকে শুধরে নেই। কেননা, এখনও সময় এবং সুযোগ আছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতের প্রতিও আমাদের নজর থাকতে হবে। যাতে তার জন্য আমাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ সম্ভব হয়।

কী এই প্রস্তুতি? পূত-পবিত্র, স্বচ্ছ-সুন্দর হৃদয়, নেক আমল এবং সত্য ও কল্যাণের পথে দ্রুত এগিয়ে চলা এবং খাঁটি সংকল্প।

মুমিন সর্বদা দুদিক থেকে চিন্তামগ্ন থাকে। একদিকে তার অতীতকর্মের জন্য তার উৎকণ্ঠা- না জানি আল্লাহর কাছে আমার আমল কী অবস্থান পেয়েছে। অন্যদিকে ভবিষ্যতের মুহূর্তগুলোর কথা ভেবে তার হৃদয় কাঁপে যে, আগামীতে না জানি আল্লাহ কী ফায়সালা করবেন!

অতএব, প্রত্যেক বান্দাকে এ জীবন থেকেই প্রয়োজনীয় রসদ সংগ্রহ করতে হবে। নিজের দুনিয়া দ্বারাই আখেরাতকে বিনির্মাণ করতে হবে। বার্ধ্যক্যেরও আগে, মৃত্যু আসারও আগে।

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ভাষায়-

এমন কোনো দিন আসে না, যেই দিনটি (মানুষকে) ডেকে বলে না যে, হে আদম সন্তান! আমি জীবন্ত মুহূর্ত। আমি তোমার কর্মের সাক্ষী। আমার থেকে যা ইচ্ছা অর্জন করে নাও। আমি চলে গেলে কেয়ামত অবধি আর ফিরে আসবে না।

আমি নতুন বছর নিয়ে কিছু লিখতে বসেছিলাম-

ইচ্ছে ছিল, প্রিয় নবীজির হিজরতের স্মরণে কিছু লিখবো। হিজরতের বিভিন্ন ঘটনা বলে প্রাণে প্রাণে উত্তাপ সঞ্চার করব। কিন্তু আমি সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রসঙ্গে এসে পড়লাম। আমি আমার সেই ভাইদের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় ছিলাম যারা সময়ের হক নষ্ট করে ফেলেছে। যারা জীবনের প্রকৃত রহস্য ভুলে বসেছে।

শত আফসোস! তারা সেই পরীক্ষার কথা ভুলে গেছে যার উদ্দেশ্যে আমাদের জীবন-অস্তিত্ব। আল্লাহ বলেন-

الَّذِي خَلَقَ الْمَوْتَ وَالْحَيَاةَ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا وَهُوَ الْعَزِيزُ الْغَفُورُ

‘যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য যে, কর্মে তোমাদের মধ্যে কে উত্তম? তিনিই পরিপূর্ণ ক্ষমতার মালিক, অতি ক্ষমাশীল।’ (সুরা মুলক : আয়াত ২)

আমি ভিন্ন প্রসঙ্গে লিখতে বসেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ নিজেকে আপন শ্রদ্ধেয় এবং আদরের ভাইদের সামনে আবিষ্কার করলাম। অন্তরে আশা জাগ্রত হলো। এভাবে শয়তানের হাত থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে দয়াময় রহমানের আশ্রয়ে চলে আসব। সবাই আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির সেই কাফেলায় শরিক হবো, যার প্রতি তাঁর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও সন্তুষ্টির ধারা অবতীর্ণ হয়।

নতুন বছরের স্বপ্ন

আমাদের জীবনের রেজিস্ট্রার খাতায় নতুন বছরের মাসটি সাদা পৃষ্ঠা থেকে শুরু হোক। পেছনের পৃষ্ঠাগুলো যদি গুনাহের কারণে কালো হয়ে গিয়ে থাকে তবে আল্লাহ তাআলা আপন করুণা ও দয়ায় তওবা ও ইস্তেগফারের উসিলায় নেকি দ্বারা পরিবর্তন করে দিন। তিনিই বলেন-

وَهُوَ الَّذِي يَقْبَلُ التَّوْبَةَ عَنْ عِبَادِهِ وَيَعْفُو عَنِ السَّيِّئَاتِ وَيَعْلَمُ مَا تَفْعَلُونَ . وَيَسْتَجِيبُ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَيَزِيدُهُمْ مِنْ فَضْلِهِ وَالْكَافِرُونَ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِيدٌ

‘আর তিনিই নিজ বান্দাদের তাওবা কবুল করেন ও গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেন। আর তোমরা যা-কিছু কর তা তিনি জানেন। যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে, তাদের দোয়া তিনি শোনেন এবং নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে আরও বেশি দান করেন। আর কাফেরদের জন্য আছে কঠিন শাস্তি।’ (সুরা শুরা : আয়াত ২৫-২৬)

আসুন, লক্ষ্য করুন- আমাদের উপর রাব্বুল আলামিনের ব্যবস্থাপনা-তত্ত্বাবধান কতটা বিশাল। তিনি বলেন-

أَمْ يَحْسَبُونَ أَنَّا لَا نَسْمَعُ سِرَّهُمْ وَنَجْوَاهُمْ بَلَى وَرُسُلُنَا لَدَيْهِمْ يَكْتُبُونَ

‘তারা কি মনে করেছে আমি তাদের গোপন কথাবার্তা ও তাদের কানাকানি শুনতে পাই না? কেন শুনতে পাব না? তাছাড়া আমার ফেরেশতাগণ তাদের কাছেই রয়েছে। তারা সবকিছু লিপিবদ্ধক করছে।’ (সুরা যুখরুফ : আয়াত ৮০)

আসুন দেখুন, কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলার হিসাব কতটা সূক্ষ্ম হবে। তিনি বলেন-

يَوْمَئِذٍ يَصْدُرُ النَّاسُ أَشْتَاتًا لِيُرَوْا أَعْمَالَهُمْ . فَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ . وَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ

‘সেদিন মানুষ বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে বের হবে। কারণ তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম দেখানো হবে। সুতরাং কেউ অনু পরিমাণ সৎকর্ম করে থাকলে সে তা দেখতে পাবে। আর কেউ অনু পরিমাণ অসৎকর্ম করে থাকলে তাও দেখতে পাবে।’ (সুরা যিলযাল : আয়াত ৬-৮)

লেখক : ইমাম হাসান আল-বান্না শহীদ রাহ.

মাজাল্লাতু ইখওয়ানুল মুসলিমীনের সৌজন্যে মাসিক তরজুমানুল কুরআন, জানুয়ারী ২০১০ইং

সানবিডি/ এন/আই