নওগাঁয় বছরে অর্ধশত কোটি টাকার ধান মাড়াই মেশিন বেচাকেনা
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২২-০১-০৫ ১০:৩৯:২৫
নওগাঁয় জেলায় বছরে প্রায় দুই হাজার ধান মাড়াই মেশিন তৈরি হয়। এসব মেশিন দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে বছরে বেচাকেনা হচ্ছে অর্ধশত কোটি টাকারও বেশি।
সূত্র জানায়, এক যুগ আগে জেলার পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর বাজার ও ধামইরহাট উপজেলা সদরে গড়ে ওঠে ধান মাড়াই মেশিন কারখানা। গত ৫-৭ বছরের ব্যবধানে কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ বেড়ে যাওয়ায় মাড়াই মেশিনের গুরুত্ব বেড়েছে।
বছরে প্রায় দুই হাজার ধান মাড়াই মেশিন তৈরি হচ্ছে নওগাঁয়। এসব মেশিন দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে বছরে বেচাকেনা হচ্ছে অর্ধশত কোটি টাকারও বেশি
স্থানীয় ভাষায় মাড়াই মেশিনকে বলা হয় ‘বঙ্গা’। পত্নীতলা ও ধামইরহাট উপজেলায় বঙ্গা কারখানা রয়েছে প্রায় ৮০টি। এসব কারখানা থেকে বছরে প্রায় দুই হাজার ধান মাড়াই মেশিন তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রায় ৭০০ জন শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে।
কারখানা সূত্র জানায়, প্রতিটি ধান মাড়াই মেশিন তৈরিতে ৫-৬ জন শ্রমিকের সময় লেগে যায় ৫-৭ দিন। আর একেকটি মাড়াই মেশিনের দাম পড়ে দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা থেকে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা। সে হিসাবে দুই হাজার মাড়াই মেশিনের দাম দাঁড়ায় প্রায় ৫৬ কোটি টাকা।
বছরে প্রায় দুই হাজার ধান মাড়াই মেশিন তৈরি হচ্ছে নওগাঁয়। এসব মেশিন দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে বছরে বেচাকেনা হচ্ছে অর্ধশত কোটি টাকারও বেশি
ধান মাড়াইয়ের এ মেশিনে মাড়াইয়ের পাশাপাশি ধানও পরিষ্কার হয়ে যায়। তাই আলাদা করে ধান পরিষ্কার করার প্রয়োজন হয় না। বোরো ও আমন মৌসুমে মাড়াই মেশিন বেশি ব্যবহৃত হয়।
একসময় ক্ষেত থেকে ফসল কাটার পর মাড়াই সমস্যায় পড়তে হতো চাষিদের। শ্রমিক সংকটের কারণে বিড়ম্বনায় পড়তে হতো। সঠিক সময়ে মাড়াই করতে না পারায় ফসল নষ্ট হতো। গত ৫-৭ বছরের ব্যবধানে কৃষিতে বেড়েছে যান্ত্রিকীকরণ। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে গত কয়েক বছরে প্রযুক্তি ও যন্ত্রাংশ ব্যবহারে কৃষকদের কষ্ট অনেকটা কমে এসেছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাড়াই মেশিনে ধান মাড়াইয়ের পাশাপাশি সরিষা, তিল, তিষি, গম, ধনিয়া ও মাসকলাই মাড়াই করা যায়। নওগাঁ থেকে এসব মাড়াই মেশিন নোয়াখালী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, নীলফামারী, দিনাজপুর ও রংপুরসহ কয়েকটি জেলায় সরবরাহ করা হয়।
বছরে প্রায় দুই হাজার ধান মাড়াই মেশিন তৈরি হচ্ছে নওগাঁয়। এসব মেশিন দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে বছরে বেচাকেনা হচ্ছে অর্ধশত কোটি টাকারও বেশি
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শামসুল ওয়াদুদ বলেন, জেলার পত্নীতলা ও ধামইরহাট উপজেলায় যথেষ্ট ভালো ও মানসম্মত পাওয়ার থ্রেসার (ধান মাড়াই মেশিন) তৈরি হয়। কর্তৃপক্ষ এসে কারখানাগুলো দেখে গেছেন। আমরা এ শিল্পকে আরও সম্প্রসারণের চেষ্টা করছি।
সানবিডি/ এন/আই