২০২১ সালে ৬ লাখের বেশি কর্মীর প্রবাসে গমন
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২২-০১-০৫ ১৯:৪২:১৬
মহামারি পরিস্থিতিতে প্রবাসী আয় নিম্নমুখী থাকলেও গতি ফিরেছে জনশক্তি রফতানিতে। করোনা সংকটের কারণে বাংলাদেশের শ্রমবাজার স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো বলছে, বিদায়ী বছরে ছয় লাখেরও বেশি কর্মী গেছেন বিভিন্ন দেশে। নতুন করে শ্রমবাজার না খুললেও পুরনো বাজার থেকেই চাহিদা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া খুলতে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারও। সব মিলিয়ে নতুন বছরে জনশক্তি রফতানি আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে ৬ লাখ ১৭ হাজার ২০৯ জন কর্মী বিদেশে গেছেন। এরমধ্যে জানুয়ারি মাসে গেছেন ৩৫ হাজার ২৩২ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ৪৯ হাজার ৫১০ জন, মার্চে ৬১ হাজার ৬৫৩ জন, এপ্রিলে করোনার সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ার পর গতি কমে যায়। তারপরও এপ্রিল মাসে ৩৪ হাজার ১৪৫ জন কর্মী গেছেন, মে মাসে গেছেন ১৪ হাজার ২০০ জন, জুন মাসে করোনাভাইরাসের সংক্রমন কমে আসতে থাকলে আবার সংখ্যা বাড়তে থাকে।
জুন মাসে গেছে ৪৮ হাজার ৫৬৭ জন, জুলাই মাসে ১২ হাজার ৩৮০ জন, আগস্ট মাসে ১৯ হাজার ৬০৪ জন, সেপ্টেম্বর মাসে ৪২ হাজার ৮ জন গেছেন, অক্টোবরে ৬৫ হাজার ২৩৩ জন, নভেম্বরে ১ লাখ ২ হাজার ৮৬১ জন এবং ডিসেম্বরে সবচেয়ে বেশি কর্মী কাজ নিয়ে বিদেশে গেছেন। এই মাসে গেছেন ১ লাখ ৩১ হাজার ৩১৬ জন কর্মী।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি ছিলো বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানির ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ কর্মীর গমন। এর আগে, ২০১৭ সালের মার্চে ১ লাখের কিছু বেশি কর্মী বিভিন্ন দেশে পাঠানো গিয়েছিলো।
এ বিষয়ে বিএমইটি সূত্র বলছে, ২০১৯ সালে মহামারি করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর মুখ থুবরে পরে বাংলাদেশের শ্রমবাজার। ফলে জনশক্তি রফতানির গতি কমে আসে। আগের বছরের ৭ লাখ থেকে পরের বছর ২০২০ সালে ২ লাখে নেমে যায়। তবে ২০২১ সালে ধীরে ধীরে আলোর মুখ দেখতে শুরু করে জনশক্তি রফতানি। যা পুরো বছর জুড়েই গতিতে ছিলো। ফলে মহামারির আগের সময়ের গতিতে ফিরেছে। মধ্যপ্রাচ্যের পর বাংলাদেশিদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। প্রায় তিন বছর বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজারটি খুলে দেওয়া নিয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে সরকার।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, ‘আমরা এবার কঠোরভাবে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর বিষয়টি মনিটর করবো। এরইমধ্যে এ বিষয়ে সমঝোতা স্মারকে সই হয়েছে। এবার সম্পূর্ণ সিন্ডিকেট মুক্ত রেখে কম অভিবাসন খরচে কর্মী পাঠানোর চেষ্টা করবো। চলতি মাসেই এর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। ফলে চলতি বছরে জনশক্তি রফতানি আরও বাড়বে।’
সানবিডি/এনজে