ফোন করলেই মিলবে জমির খতিয়ান ও ম্যাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২২-০১-০৫ ২১:২০:৫৬


পটুয়াখালী ও বরগুনায় শুরু হতে যাওয়া ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে’ (বিডিএস) বাংলাদেশের সর্বশেষ ভূমি জরিপ হবে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ভূমি ভবন মিলনায়তনে ‘ডাকযোগে ভূমিসেবা, ভূমিসেবায় ডিজিটাল পেমেন্ট এবং কল সেন্টারের মাধ্যমে ভূমিসেবা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান।

অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছেন, এখন থেকে ১৬১২২ নম্বরে ফোন করেই খতিয়ান ও ম্যাপের আবেদন করতে পারবেন ভূমি মালিক। এছাড়া জমির মালিক খতিয়ান ও নামজারি ফি এবং ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইনে প্রদান করতে পারবেন। একই সঙ্গে ডাকযোগে খতিয়ান (পর্চা) জমির ম্যাপ নিজ ঠিকানায় নিতে পারবেন।

মন্ত্রী জানান, এই সেবার ফলে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারী কর্তৃক ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ কমবে এবং ই-পর্চা, ই-রেজিস্ট্রেশন, এলডি ট্যাক্স সিস্টেম, ভার্চুয়াল শুনানি সিস্টেমের সঙ্গে ইন্টিগ্রেশন হবে। এছাড়া, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে তাৎক্ষনিক ফি জমা প্রদান করার সুযোগ এবং ভূমি অফিসে না গিয়েই অনলাইনে ডিসিআর (ডুপ্লিকেট কার্বন রিসিপ্ট) সংগ্রহ করার সুযোগ সৃষ্টি হলো নাগরিকের। এতে মানুষের অর্থ-খরচ ও ভোগান্তি অনেকাংশে লাঘব পাবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মকবুল হোসেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব খলিলুর রহমান, ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্পের ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ডোমেইন স্পেশালিষ্ট সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

সভায় ভূমিসচিব জানান, ইতোমধ্যে ৩ কোটি ৪০ লাখ হোল্ডিং এন্ট্রি হয়ে গেছে। প্রায় দেড় কোটি মানুষ অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করেছে। ১২ কোটি টাকা ভূমি উন্নয়ন কর হিসেবে আদায় হয়েছে। ১ লাখ ৩৯ হাজার মৌজা ম্যাপ ডিজিটালাইজেশন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৫ কোটি ১২ লাখ ডাটা ডিজিটাল রেকর্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে এন্ট্রি করা হয়েছে। ডিজিটাল মৌজা ম্যাপ ও মালিকানার তথ্য আত্তীকরণ করা হবে বেও জানান ভূমি সচিব।

এএ