আসিয়ান সিটির এমডির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২২-০১-০৬ ১৮:২৩:৫৫
প্রতারণার মামলায় আশিয়ান সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নজরুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালত এ পরোয়ানা জারি করেন। বৃহস্পতিবার বাদীপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মনির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা আসামি নজরুল ইসলাম ও তার পিএস জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছিলাম। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
২০২১ সালের ৭ জুন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মো. আলী হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। এ মামলার অভিযোগ তদন্ত করে গত সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশীদ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এ মামলার অপর অপর আসামি হলেন আশিয়ান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ব্যক্তিগত সহকারী মো. জাকির হোসেন।
মামলা অভিযোগে বলা হয়, আসামি নজরুল ইসলাম টাইলস, মারবেল, গ্রানাইট, সুইমিং পুলের ওয়াটার বডি, বোতাম, টাইলস, ফিটিংসসহ অন্যান্য কাজ করার জন্য ভুক্তভোগী আলী হোসেনের প্রতিষ্ঠানের প্যাডে এসব জিনিসপত্রের বিবরণ ও মূল্য উল্লেখ ও কোটেশন তৈরিতে করে ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর আসামির প্রতিষ্ঠানে দাখিল করে। এরপর আসামি নজরুল ইসলাম বাদীর কোটেশন মূল্য পুননির্ধারণ করে কার্যাদেশ প্রদান করে। এরপর একই বছরের ২৮ নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত আসামি নজরুল ইসলাম তার নিয়ন্ত্রাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজ করে তিন কোটি চার লাখ ২৪ হাজার ৭৮৫ টাকা বিল করেন।
এর মধ্যে বিভিন্ন তারিখে আসামি নজরুল ইসলাম এক কোটি ষাট লাখ টাকা পরিশোধ করেন। অবশিষ্ট এক কোটি ৫৪ লাখ ২৪ হাজার ৭৮৫ টাকা প্রদান না করে ভুক্তভোগী আলী হোসেনকে হয়রানি করতে থাকে। ফলে আলী হোসেনের ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি চরম আর্থিক অনটনে পড়ে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায়।
এরপর ২০২১ সালের ৩০ মে এ পাওনা টাকা দাবি করলে আসামি নজরুল ইসলাম ভুক্তভোগী আলী হোসেনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং নজরুল ইসলামের নির্দেশে তার সহযোগী জাকিরসহ অজ্ঞাত ২/৩ জন তাকে শারীরিকভাবে মারধর করে। আর জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করে নেয়।
এএ