প্রাণ ফিরেছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার
সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২২-০১-১০ ১৯:৩৮:২৮
দিন গড়ানোর সাথে সাথে বেচা-বিক্রি বাড়ছে নারায়নগঞ্জের রুপগঞ্জের পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায়। সকল জল্পনা কল্পনা শেষে বিক্রেতাদের মুখে হাসি ফুটতে শুরু করেছে। মেলায় দর্শনার্থীদের সমাগমে বিক্রেতাদের স্বপ্ন পূরণ হতে চলছে। কেটে গেছে তাদের শঙ্কা। সব সংশয় কেটে গিয়ে প্রাণ ফিরেছে বাণিজ্য মেলার। দেশি-বিদেশি পণ্যের প্রচার, প্রসার ও বিক্রিতে পূর্ণাঙ্গ রূপ পেয়েছে এবারের মেলা।
মেলার গেইটে ঢুকেই কেউ ছবি তুলছেন; কেউবা মোবাইল ভিডিও লাইভে স্বজনদের দেখাচ্ছেন মেলা প্রাঙ্গণের দৃশ্য। অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। পাশাপাশি কেনাকাটাও করছেন। পছন্দের জিনিসপত্র কিনছেন দাম দর করে। কেউ কেউ জিনিসপত্র দেখে শুনে যাচ্ছেন পরে এসে কেনার আশায়। মেলা পুরো জমে ওঠার কারণে ব্যবসায়ীরা অনেক খুশি। দিন যত বাড়বে মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থী বাড়বে বলে আশাবাদী বিক্রেতারা। প্রতিদিনই ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা বিকেল তিনটার পর মেলায় ভিড় করে। মেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফার্নিচার এবং ইলেক্ট্রনিক সামগ্রীর স্টলগুলো ক্রেতা এবং দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে। খাদ্য সামগ্রীর স্টলগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়েছে।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ–চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ছোট-বড় মিলে ২২৫টি স্টলে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যের পসরা নিয়ে হাজির হয়েছে। আগের মতো খোলা আকাশের নিচে এবারের মেলা হচ্ছে না। প্রদর্শনী কেন্দ্রের স্থায়ী অবকাঠামোর ভেতরে ও বাইরে মিলিয়ে এবারের মেলা সাজানো হয়েছে। এক্সিবিশন সেন্টারের ভেতরে ও বাইরে বেশ ফাঁকা রেখে স্টলগুলো সাজানো হয়েছে। এতে ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরে বেড়াতে পারছেন।
স্টল মালিক, ক্রেতা ও দর্শনার্থী বলেন, ‘এখানে মেলা হওয়ায় খুব ভালো হয়েছে। এখানে খোলামেলা পরিবেশ। এই এলাকায় এমনও মানুষ আছে যারা কখনো আগারগাঁওয়ের বাণিজ্য মেলায় যাননি। তারা এখন এখানে আসছেন। মেলার সৌন্দর্যই হলো ক্রেতা-দর্শনার্থী। তাদের আগমন যত বাড়বে মেলার সৌন্দর্য তত বাড়বে। আমাদের প্রত্যাশা, সামনে ক্রেতা-দর্শনার্থী আরও বাড়বে। এ বছর মেলা ক্রেতামুখী করতে কমদামে নিজেদের প্রেডাক্ট ছেড়েছে বিভিন্ন কোম্পানি।
এদিকে, মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থী বাড়ায় অনেকটা হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টল মালিকরা। দর্শনার্থী বাড়ার পাশাপাশি বিক্রিও হচ্ছে ভালোই। মেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফার্নিচার এবং ইলেকট্রনিক সামগ্রীর স্টলগুলো ক্রেতা এবং দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে। এ ছাড়া খাদ্যসামগ্রীর স্টলগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়েছে।
এ ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)’র সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘মেলায় ক্রেতা সমাগম বেড়েছে। আশাকরি বাণিজ্য মেলা ব্যবসা সফল হবে। আমাদের আন্তরিকতার সবটুকু দিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে মেলা পরিচালনা করছি।’
প্রতিদিন মেলা সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাত ১০টা পর্যন্ত)। মেলার প্রবেশ মূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের ৪০ টাকা, শিশুদের ২০ টাকা।
সানবিডি/এনজে