খুলনায় মা-মেয়েসহ ট্রিপল মার্ডারের রহস্য উদঘাটন
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০১-১০ ২০:২২:৪৮
খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার বামিয়া গ্রামের ট্রিপল হত্যার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে ট্রিপল মার্ডারের রহস্য উদঘাটিত হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে খুলনার পুলিশ সুপার তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য জানান।
গত ২৫ অক্টোবর কয়রার বামিয়া গ্রামে ট্রিপল মার্ডারের শিকার হন মা বিউটি বেগম (৩২), কিশোরী মেয়ে হাবিবা সুলতানা টুনি (১২) ও বাবা হাবিবুল্লাহ (৩৬)।
হত্যাকাণ্ডের অন্যতম কারণ মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, পরকীয়া সম্পর্কের পথের কাঁটা দূরীকরণ এবং বিকৃত যৌনাচার বলে জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহবুব হাসান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মামলার অন্যতম আসামি আ. রশিদ গাজীকে গত ৮ জানুয়ারি যশোরের অভয়নগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দি দিয়েছেন।
বামিয়া গ্রামের নিজ বাড়ির পাশের পুকুর থেকে এই তিনজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় নিহত হাবিবুল্লাহর মা কোহিনুর বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ পরকীয়ায় আসক্ত জিয়াউর রহমান, রাজিয়া সুলতানা, আ. রহমানসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবুও কিছুতেই মামলার জট খুলছিল না।
এ ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন আ. রশিদ গাজী। আ. রশিদ গাজীকে গ্রেপ্তারের পর তিনি জানান, তারা মোট ছয়জন ভিকটিম বিউটি বেগম ও তাঁর মেয়ে টুনিকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে কুপিয়ে হত্যার পর পুকুরে ফেলে দেন। ঘটনা দেখে ফেলায় এবং আসামি জিয়াউর রহমান ও রাজিয়া সুলতানার পরকীয়ার বাধা হয়ে দাঁড়ানো হাবিবুল্লাহকেও কুপিয়ে হত্যার পর পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় পুলিশ এ পর্যন্ত মোট ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার বলেন, বিকৃত যৌন লালসা, প্রতারণামূলক আর্থিক লেনদেন ও পরকীয়ার জেরে দলবদ্ধভাবে এই ট্রিপল হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এএ