ভেদ করা যায়নি যে এক ডজন রহস্য
আপডেট: ২০১৬-০২-১০ ২৩:০২:৪৬
স্কটল্যান্ডের লক নেস হ্রদ। ১৯৩৩ সালে এক দম্পতি হঠাত্ই দাবি করেন, তাঁরা নাকি লম্বা গলার বিশাল এক জন্তুকে ওই লেকে দেখেছেন। সেই প্রথম, কিন্তু শেষ বার নয়। তারপর আরও কতজন যে বিশালাকৃতির লম্বা গলার জন্তুকে দেখার দাবি করেছেন ইয়ত্তা নেই। কিন্তু কেউই প্রমাণ দিতে পারেননি। লক নেস হ্রদের এই দানবের অস্তিস্ত্ব রহস্যে মোড়াই বয়ে গেছে। এই দানবের আদরের একটা নামও আছে। নেসি।
গোটা বিশ্বই যেন রহস্যে মোড়া। কোথায় কোথায় যে লুকিয়ে রয়েছে রসহ্য তা কেউ জানে না। কখনও উধাও হয়ে যায় আস্ত একটা বিমান, কখনও বা শোনা যায় এমন এক প্রাণীর কথা যার কোনও অস্তিত্বই নেই। কখনও আবার যুগ যুগ ধরে মাটির তলায় চাপা পড়ে থাকে রহস্য। এই গ্যালারিতে দেখে নিন বিশ্বের এমনই এক ডজন রহস্যের গল্প।
স্কটল্যান্ডের লক নেস হ্রদ। ১৯৩৩ সালে এক দম্পতি হঠাত্ই দাবি করেন, তাঁরা নাকি লম্বা গলার বিশাল এক জন্তুকে ওই লেকে দেখেছেন। সেই প্রথম, কিন্তু শেষ বার নয়। তারপর আরও কতজন যে বিশালাকৃতির লম্বা গলার জন্তুকে দেখার দাবি করেছেন ইয়ত্তা নেই। কিন্তু কেউই প্রমাণ দিতে পারেননি। লক নেস হ্রদের এই দানবের অস্তিস্ত্ব রহস্যে মোড়াই বয়ে গেছে। এই দানবের আদরের একটা নামও আছে। নেসি।
স্টোনহেঞ্জ। ইংল্যান্ডের উইল্টশায়ারের অ্যামাসবারির কাছেই একটা খোলা মাঠ। ধু ধু প্রান্তর। যত দূর চোখ যায় কিচ্ছুটি নেই। মাঝ খানে শুধু গোল করে দাঁড়িয়ে অনেকগুলো বিশাল পাথরের স্তম্ভ। ইতিহাস বলে এগুলো নাকি যিশুর জন্মের ৩০০০ বছর আগে তৈরি। কিন্তু কেন? খোলা মাঠে কেন দাঁড়িয়ে এই স্তম্ভগুলো? আজও এর কোনও উত্তর মেলেনি।
অপূর্ব এই শহর নাকি সোনায় মোড়া। প্লেটোর মতে প্রায় ৯০০০ বছর আগে আটলান্টিস কোন এক মহা প্রলয়ের পর তলিয়ে গিয়েছিল জলের নীচে। কিন্তু এখন নাকি সমুদ্রের অতলে এই শহরে নাকি মারমেড আর মারম্যানরা থাকে। রয়েছে ভুরিভুরি সোনাও। সোনার লোভে কতজন আটলান্টিসের খোঁজে অভিযান চালিয়েছে ইয়ত্তা নেই। কিন্তু আজও মেলেনি হদিশ।
১৮৮৮ সাল। লন্ডন শহরের হোয়াইটচ্যাপেল ডিস্ট্রিক্ট ও সংলগ্ন এলাকায় এই সিরিয়াল কিলারের দৌরাত্ম্য সবাই আতঙ্কিত। শিকারদের প্রত্যেকেরই গলার নলি কেটে হত্যা করত এই খুনী। কারণ কেউ জানে না। নৃশংস এই খুনীকে খুঁজে পায়নি স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডও। জ্যাক দ্য রিপার নামটাও পুলিশেরই দেওয়া। পৃথিবীর নৃশংসতম খুনীদের মধ্যে অন্যতম জ্যাক দ্য রিপার। যার পরিচয় এখনও অজ্ঞাত।
পুয়ের্তো রিকো আর মিয়ামির মাঝের সমুদ্রের অংশ। ত্রিভূজের এই গোলকধাঁধায় নাকি হারিয়ে যায় জাহাজ। এর মাথার উপর দিয়ে উড়লেই নাকি হাওয়া হয়ে যায় এরোপ্লেন। বারমুডো ট্রায়ঙ্গালকে নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। ভিন গ্রহের যোগ নাকি সবটাই কল্পনা? কে জানে!
অষ্টাদশ শতকের একটি স্মৃতিস্তম্ভ ,ব্রিটেনে শেপার্ড মনুমেন্টের গায়ে লেখা পুঁথির পাঠোদ্ধার করার চেষ্টা করেছেন অনেকেই। ব্যর্থ হয়েছেন সব্বাই। এমনকি চার্লস ডারউইনও।
পেরুর রাজধানী লিমা থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণে ৮০ কিলোমিটার লম্বা ও ৫০০ বর্গকিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে জ্যামিতিক চিত্র ও নানা পশুপাখির ছবি। কথায় বলে নাজকার রেখা। খোলা মাঠে কারা আঁকলো এত বড় বড় ছবি? কেনই বা? এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আমেরিকান শিল্পী জিম সানবর্ন এটি তৈরী করেন এই ক্রিপটন। ভার্জিনিয়ার, ল্যাংলি শহরে অবস্থিত এই ভাস্কর্য।
টিনটিনের সেই গল্প মনে আছে। বন্ধু চ্যাং-কে আদর যত্নে ভরিয়ে বেখেছিল যে তুষারমানব। সেই তুষারমানব বা ইয়েতি নাকি শুধু টেনিদার গল্পে নয়, আছে বাস্তবেও। অনেকে আবার তার ছবি তুলছে বলেও দাবি করেন। সত্যিটা কিন্তু কেউ জানে না।
ব্রিটিশ-আমেরিকার বিখ্যাত জাহাজ মেরি চেলেস্টা। ১৮৭২ সালের ৪ ডিসেম্বর মেরি চেলেস্টা জাহাজটিকে অ্যাটলান্টিক মহাসাগরে পাওয়া যায়। জাহাজ অক্ষত। রয়েছে খাবার-দাবারও। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে জাহাজ থেকে হাওয়া সাত অভিজ্ঞ নাবিক।
মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ৩৭০ বিমানটিতে ১৫টি দেশের ১২ জন কর্মী ও ২২৭ জন যাত্রীসহ মোট ২৩৯ জন যাত্রী ছিলেন। ২০১৪ ৮ই মার্চ তারিখে এটি ভরা যাত্রী নিয়েই আকাশপথেই হারিয়ে যায়। অনেকে দাবি করলেও এখনও এই প্লেনের নিঁখোজ রহস্য আনসলভড।
এই সংকেতটির মাধ্যমে এলিয়েনদের অস্তিত্ব সম্পর্কে অনুভব করা যায় বলে দাবি। সংকেতটি ৭২ সেকেন্ড ধরে ছিল কিন্তু এরপর আর এই সংকেতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি।