করোনায় অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে বাড়ছে যৌনাঙ্গের সমস্যা
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২২-০১-১৯ ২০:১২:২২
দেশে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। গলা ব্যথা, হালকা জ্বর, সর্দি-কাশির মতো মৃদু উপসর্গ নিয়ে অধিকাংশ রোগীই নিজ বাসাতেই কোয়ারেন্টিনে আছেন। আক্রান্তদের একাংশ আবার উপসর্গহীন।
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে আক্রান্ত থাকাকালীন অনেকেই নির্ভর করছেন নানান অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের উপর। অ্যান্টিবায়োটিক প্রাথমিকভাবে সংক্রমণ রোধ করলেও পরবর্তীকালে এর প্রভাবে শরীরে নানান জটিলতা দেখা দেয়। তার মধ্যে অন্যতম যৌনাঙ্গের সংক্রমণ।
কোভিড মুক্ত হওয়ার পর অনেকেই এই ধরনের শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। আক্রান্ত থাকাকালীন অনেকেই দ্রুত সুস্থ হওয়ার লক্ষ্যে এবং শারীরিক উপসর্গগুলির প্রতিরোধে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করেছেন। সুস্থ হওয়ার পর গোপনাঙ্গের ত্বকে র্যাশ, চুলকানির মতো বিভিন্ন সংক্রমণজনিত উপসর্গ দেখা দিচ্ছে।
মনে করা হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাবেই এমনটি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
চিকিৎসকদের মতে, অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাবে খারাপ ব্যাকটেরিয়ার পাশাপাশি যৌনাঙ্গ সুরক্ষিত রাখে এমন কিছু ভালো ব্যাকটেরিয়াও মারা যায়। ফলে যৌনাঙ্গের পিএইচের ভারসাম্য ব্যহত হয়।
অ্যান্টিবায়োটিকের অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় অ্যালার্জি, ডায়েরিয়া ইত্যাদি সমস্যাগুলিও দেখা দেয়।
যৌনাঙ্গে সংক্রমণের কয়েকটি প্রধান লক্ষণঃ
১. যৌনাঙ্গ সংলগ্ন ত্বকে চুলকানি বা র্যাশ হতে পারে।
২. শ্বেতস্রাব বৃদ্ধি পাওয়া।
৩. প্রস্রাবের সময় জ্বালা ভাব, ব্যথা।
৪. সহবাসের সময় যন্ত্রণা।
এছাড়াও অ্যান্টিবায়োটিক সেবন শরীরে আরও যেভাবে প্রভাব ফেলেঃ
১. শরীরের সামগ্রিক সুস্থতায় সহায়ক কিছু ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ।
২. শরীরের বিভিন্ন অংশে ফুসকুড়ি, পেটে ব্যথা, জ্বর, মাথা ব্যথা, অনিদ্রা, মাথা ঘোরা ইত্যাদি নানান রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩. শরীরের পক্ষে উপকারী উপাদান মাইক্রোবিয়ামের পরিমাণ এবং বৈচিত্র্যকে হ্রাস করে।
এএ