এসএমই খাতের উন্নয়নে ই-ডাটাবেজ হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০১-২০ ২১:৩০:৪২


দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) শিল্পের উন্নয়নে অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের সহযোগিতায় দেশব্যাপী ই-ডাটাবেজ তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এসএমই ফাউন্ডেশন।

এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) প্রাথমিকভাবে ঢাকার শ্যামপুর, বগুড়ার আদমদীঘি, পিরোজপুরের নেছারাবাদ এবং কিশোরগঞ্জের ভৈরবে- এই চার উপজেলায় পরীক্ষামূলক কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

এসএমই ফাউন্ডেশন বলেছে, এই ডাটাবেজে নিবন্ধিত হলে সহজে সেবা পাবেন এসএমই খাতের উদ্যোক্তারা। এতে অনিয়মের পথ বন্ধ হবে।

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের শতকরা ৯৯ ভাগ শিল্প ও ব্যবসা কুটিরসহ এমএসএমই খাতের আওতাভুক্ত। এ খাত দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। মোট কর্মসংস্থানের শতকরা ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ অবদান এসএমই খাতের।

‘এমন বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে, এসএমই ই-ডাটাবেজ কার্যক্রম অত্যন্ত সময়োপযোগী পদক্ষেপ। দেশের সব এসএমই উদ্যোক্তার তথ্য একটি প্ল্যাটফর্মে পাওয়া গেলে এ খাতের উন্নয়নে সরকারের নীতিনির্ধারণ সহজ হবে।’

এ ধরনের কর্মসূচি অর্থনীতির প্রাণ এমএসএমই খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানান শিল্পমন্ত্রী।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘অর্থনীতিতে অবদান রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ খাতকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু নিয়মিত হালনাগাদকৃত ডাটাবেজ না থাকায় প্রায়ই এ খাত নিয়ে নানাবিধ নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে বেগ পেতে হচ্ছে।

‘তাই আমি মনে করি, ডাটাবেজ গঠনের এই উদ্যোগ সময়োপযোগী এবং বাস্তবসম্মত। দেশের সব ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) শিল্প খাতকে কীভাবে এই ডাটাবেজের আওতায় আনা যায়, তার জন্য যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।’

এসএমই উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ, তহবিলের জোগান এবং বিভিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন মন্ত্রী।

এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান বলেন, ‘২০২৪ সালের মধ্যে জিডিপিতে এসএমই খাতের অবদান ৩২ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এ খাতের উন্নয়নে এসএমই ই-ডাটাবেজ সরকারের নীতিনির্ধারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ‘ই-ডাটাবেজ তৈরির কাজ শেষ হলে উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন, পণ্য বাজারজাতকরণ এবং পণ্যের মানোন্নয়নে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পরিসংখ্যান ব্যুরো পরিচালিত সর্বশেষ অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী দেশের মোট ৭৮ লাখের বেশি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৯ ভাগের বেশি কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) খাতের। এই খাতের বিকাশ ধরে রাখতে হলে ডাটাবেজের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ মফিজুর রহমান এবং এসএমই ই-ডাটাবেজের ওপর বিশদ উপস্থাপনা প্রদান করেন এটুআই-এর স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড ইনোভেশন স্পেশালিস্ট জনাব আসাদ-উজ-জামান। এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়, এসএমই ফাউন্ডেশন, এটুআই-এর কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এএ