ক্রেডিট গ্যারান্টি সুবিধা

ঋণ পাবেন ১০ টাকার হিসাবধারী কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০১-২৩ ১৮:৫৭:০৭


১০, ৫০ ও ১০০ টাকার হিসাবধারী প্রান্তিক কৃষক, নিম্ন আয়ের পেশাজীবী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ক্রেডিট গ্যারান্টি সুবিধার আওতায় ঋণ দিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এজন্য “আর্থিক সেবাভুক্তি ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম” নামে একটি নতুন স্কিম চালু করা হয়েছে।

রোববার (২৩ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন এই নির্দেশনা অনুযায়ী এখন থেকে ১০, ৫০ ও ১০০ টাকার হিসাবধারীর আওতায় থাকা প্রান্তিক বা ভূমিহীন কৃষক, নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, স্কুল ব্যাংকিং হিসাবধারী এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জামানতবিহীন ঋণ বা বিনিয়োগের বিপরীতে ক্রেডিট গ্যারান্টি সুবিধা পাবেন। সে ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে একটি সুনির্দিষ্ট নিদেশনা দেয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই স্কিমের আওতায় ঋণ বা বিনিয়োগের জন্য অত্র ইউনিটের মোট গ্যারান্টির সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত পোর্টফোলিও গ্যারান্টি ক্যাপ প্রদান করা হবে, যার আওতায় কোন একক উদোক্তা ঋণ বা বিনিয়োগ গ্রহীতার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ পর্যন্ত গ্যারান্টি কভারেজ প্রদান করা হবে। এছাড়া ক্রেডিট গ্যারান্টি সুবিধা গ্রহণের জন্য ব্যাংকসমূহকে সিজিএস ইউনিটের সাথে একটি অংশগ্রহণ চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকসমূহের আবেদনের ভিত্তিতে গভর্নরের অনুমোদনে বছরের যে কোন সময়ে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। ক্রেডিট গ্যারান্টি সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে ক্রেডিট গ্যারান্টি স্ক্রিম বিভাগ থেকে জারিকৃত নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে ২০২১ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর এক সার্কুলারে ৫০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করে উল্লেখিত হিসাবধারীদের ঋণ বিতরণে ৩ লাখ টাকার কম ঋণের জন্য গ্যারান্টি বা জামানত না নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে গত ৫ই জানুয়ারি আরেক সার্কুলারে ২৫ হাজার টাকা ও তদূর্ধ্ব পরিমাণ ঋণ সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যাংক নিজস্ব বিবেচনায় ১০, ৫০ ও ১০০ টাকার হিসাবধারীদের থেকে জামানত নিতে হবে বলে ব্যাংকগুলোকে জানানো হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করে, কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের ফলে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠির আয়-উৎসারী কর্মকান্ড বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।

এছাড়া, বর্তমানে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিরূপ প্রভাবে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে আর্থিক সেবাভুক্তি কার্যক্রমের আওতায় ১০ টাকার হিসাবধারী প্রান্তিক/ভূমিহীন কৃষক, নিম্ন আয়ের পেশাজীবী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পুনরুদ্ধার বা অব্যাহত রাখা এবং ঋণের ব্যাপ্তি বৃদ্ধি ও ঋণের শর্তাবলী সহজীকরণের লক্ষ্যে ৫ই সেপ্টম্বর বিদ্যমান পুনঃঅর্থায়ন স্কিমটি ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করে পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত স্কিমের আওতায় ১০, ৫০ ও ১০০ টাকার হিসাবধারী প্রান্তিক/ভূমিহীন কৃষক,নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, স্কুল ব্যাংকিং হিসাবধারী এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে কোন নিরাপত্তা জামানত নেয়া যাবে না। তবে, প্রদত্ত ঋণের বিপরীতে ঋণ গ্রহীতাসহ অনধিক দু’জনের ব্যক্তিগত গ্যারান্টি গ্রহণ করা যাবে।

এএ