বেনাপোলে ৬ মাসে ৫০৯ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২২-০১-২৪ ১৩:২৫:২৭


বেনাপোল কাস্টম হাউসে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে ৫০৯ কোটি টাকা রাজস্ব কম আদায় হয়েছে। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল আড়াই হাজার কোটি টাকা, সেখানে আদায় হয়েছে ১ হাজার ৯৯১ কোটি টাকা। তবে ২০১৯-২১ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসের চেয়ে ১০১ কোটি টাকা বেশি আদায় হয়েছে। ওই সময়ে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা।
চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে পণ্য আমদানি হয়েছে ১১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৪ মেট্রিক টন। আর রফতানি হয়েছে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৩ মেট্রিক টন। গত বছরের চেয়ে আমদানি কিছুটা কমলেও রফতানির পরিমাণ বেড়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে আমদানি হয়েছিল ১১ লাখ ৭৩ হাজার ৩২ মেট্রিক টন এবং রফতানি হয়েছিল ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৬ মেট্রিক টন।

বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর আমদানি পণ্য থেকে ৬ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ২৪৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা। অর্থবছর শেষে আদায় হয়েছিল ৪ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা। বছরটিতে রাজস্ব আয়ের গ্রোথ অন্যান্য সময়ের চাইতে বেশি হলেও ঘাটতি ছিল ২ হাজার ৫৭ কোটি টাকা।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, চলতি অর্থবছরে এত বড় অঙ্কের রাজস্ব আদায় কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। কারণ একদিকে করোনা পরিস্থিতি ও অন্যদিকে সুষ্ঠুভাবে বাণিজ্য সম্পাদনে অবকাঠামো উন্নয়ন না হওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে ব্যবসায়ীদের। ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও বেনাপোল বন্দরের অব্যবস্থাপনা নিয়ে অনেকবার বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে বাণিজ্য বন্ধ করেছেন। আবার ভারতের কালিতলায় অবৈধভাবে পার্কিংয়ের নামে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা হয়। এতে আর্থিকভাবে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। যে কারণে অনেক ব্যবসায়ী এই বন্দর ছেড়ে চলে গেছেন। তবে বেনাপোল বন্দর উন্নয়ন ও ভারতে হয়রানি বন্ধ হলে এ বন্দর থেকে লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ রাজস্ব আয় করা কাস্টমসের পক্ষে সম্ভব হবে।

সানবিডি/ এনজে